শেয়ার বেচবেন সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোক্তা হাজী এমএ মালেক শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বর্তমানে হাজী এমএ মালেকের কাছে থাকা কোম্পানির মোট শেয়ার থেকে ২১ হাজার ৫৭৫ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, যা আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বর্তমান বাজারদরে সাধারণ মার্কেটে বিক্রি করতে হবে।

বিমা খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট পাঁচ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৫১ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স। আর এ প্রান্তিকে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস বেড়েছে। তথ্যমতে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২১) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়েছে ১৯ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাস (জানুয়ারি-জুন, ২০২১) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবেও কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে। এছাড়া ২০২১ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৩২ পয়সা, যা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ২৫ টাকা দুই পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে এক টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় এক টাকা ২১ পয়সা ছিল।

এদিকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ছয় শতাংশ নগদ ও সাড়ে সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা দুই পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর আট দশমিক ৩০

শতাংশ বা চার টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬২ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই।