মিজানুর রহমান পলাশ: খোদেজা বেগম, ঢাকায় ঠিকে-ঝি বা গৃহকর্মীর কাজ করেন। ৪০-৪৫ বছর ধরে গৃহকর্মীর কাজ করছেন ৬০ বছর বয়সী এই প্রবীণ নারী। শরীর সবসময় ভালো থাকে না বলে সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন প্রায়ই কাজে যেতে পারেন না। গৃহকর্ত্রীর বকা শুনতে হয়। বেতন কাটা যায় অনুপস্থিত থাকা দিনের। তারপরও পেটের দায়ে খোদেজা বেগমকে এই বয়সেও কাজ করতে হয়। যশোর থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকা শহরে এসেছিলেন। অল্প বয়সেই স্বামী মারা যাওয়ায় দুই ছেলে নিয়ে এই কঠিন পৃথিবীতে টিকে থাকতে মানুষের বাসায় বুয়ার কাজ শুরু করেছিলেন। দুই ছেলে নিজেদের আয়-রোজগারের পথ খুঁজে নিয়েছে। স্ত্রীদের নিয়ে তাদের এখন আলাদা সংসার। সেখানে মায়ের জায়গা হয় না।
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ব্যাংক কর্মকর্তা সেলিনা হোসেনের গল্প আবার ভিন্ন। তার দুই মেয়ে উচ্চশিক্ষিত এবং নিজেদের কর্মক্ষেত্রে বেশ ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত। স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়েকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল তার, কিন্তু মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার একা হয়ে পড়েন। মেয়েরা তাকে নিজেদের কাছে নিয়ে রাখতে চায়, কিন্তু সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিকে তিনি এড়িয়ে যেতে পারেননি। তাই কাজের বুয়া এবং কেয়ারটেকারের ওপরই তাকে নির্ভর করতে হয়।
নি¤œবিত্ত খোদেজা বেগম, মধ্যবিত্ত সেলিনা হোসেনের মতোই উচ্চবিত্ত নার্গিস জাহানের জীবন। ব্যবসায়ী স্বামী নিজের ব্যবসায়ে প্রচুর সাফল্য এবং অর্থ-সম্পদের মালিক হলেও ৭০ বছর বয়সী প্রবীণ মানুষটি আজ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে ছেলে দায়িত্ব নিলেও তাকে দেশ-বিদেশে ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। মেয়ে স্কলারশিপ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে নিজের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে ব্যস্ত। সপ্তাহে দু-তিনবার সে মায়ের সঙ্গে কথা বলে। নার্গিস জাহানকে কেয়ারটেকার, ড্রাইভার, গৃহপরিচারিকা এদের ওপরই নির্ভর করে চলতে হয়। পঁয়ষট্টি বছর বয়সী নার্গিস জাহানকে তাই অনেকের মাঝে থেকেও একাই বলা চলে।
প্রবীণ এবং বৃদ্ধদের বাংলাদেশ তথা পূর্বের দেশগুলোতে বটবৃক্ষের মতো মনে করা হয়, যারা নিজেদের যৌবনে লড়াই করেছেন আজকের নবীনদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার জন্য এবং প্রবীণ বয়সে অভিজ্ঞতা দিয়ে আজকের নবীনদের সাহায্য করতে। প্রতি বছর ১ অক্টোবর দেশে প্রবীণ দিবস পালিত হয়। ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির মাধ্যমে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি। দেশের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ নবীন বা ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। কিন্তু আগামী ৩০ বছরের মধ্যে দেশে প্রবীণদের সংখ্যা অপ্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে।
প্রবীণ নারীদের মধ্যে উপরোল্লিখিত তিনজন এক দিক দিয়ে স্বস্তিতেই আছেন, কারণ তারা নিজেদের ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করতে পারছেন। অনেক প্রবীণ নারীই সেটা করতে পারেন না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাব মতে, আমাদের দেশে এক কোটি ৫০ লাখের মতো প্রবীণ মানুষ আছে, যাদের মধ্যে আবার ৮০ লাখের মতো প্রবীণ নারী; এদের মধ্যে ৩০ শতাংশের বয়স ৭০, আশি কিংবা তারও বেশি। এদের মধ্যে মধ্যবিত্ত প্রবীণ নারী সঞ্চয় দিয়ে চললেও নি¤œবিত্ত অধিকাংশ ৭০ বছর বয়স্ক প্রবীণ নারী ভিক্ষাবৃত্তিতে চলে যায়। ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষকে বাংলাদেশে প্রবীণ হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাব মতে, আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১ বছর ৬ মাস। পৃথকভাবে নারীদের ৭২ বছর এবং পুরুষদের ৭০ বছর। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি এবং উৎকর্ষের ফলে পৃথিবীর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ুও বেড়ে যাবে। এর ফলে একজন ৬০ বা ৬২ বছর বয়সী প্রবীণ মানুষের বর্তমানে গড় জীবন লাভের প্রত্যাশা বর্তমানে ১৮-১৯ বছর ২০৩০ থেকে ২০৫০-এর মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াবে বা প্রবীণ মানুষের জীবন লাভের প্রত্যাশা হবে ২২-২৩ বছর। বর্তমানে একজন প্রবীণ নারীর গড় জীবন লাভের প্রত্যাশা ২০-২২ বছর, ২০৩০ থেকে ২০৫০ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৫ বছর! হেল্প এইজ ইন্টারন্যাশনালের মতে, ২০০০ সালে পুরো বিশ্বে ষাট বা তদূর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা ছিল ৬০০ মিলিয়ন, তা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন বা ৭৫ কোটি থেকে ৯০ কোটি। ২০৩০ সালে গিয়ে তা দাঁড়াবে ১৪০ কোটি এবং ২০৫০ সালে তা হবে ২০৯ কোটি বা দুই বিলিয়ন। বর্তমানে ৯০ কোটি প্রবীণ মানুষের মধ্যে ৫০ কোটিই নারী। এই হিসাবে ২০৫০ সালে দুই বিলিয়ন প্রবীণের সংখ্যায় নারী প্রবীণের সংখ্যা হবে পুরুষের অর্ধেকের চেয়ে বেশি। পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমানে বাস করছে ১ কোটি ৪০ লাখ প্রবীণ। আমাদের দেশেও পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই প্রবীণ পুরুষের তুলনায় প্রবীণ নারীর সংখ্যা বেশি। কারণ নারী-পুরুষের তুলনায় দীর্ঘজীবী হয়। বাংলাদেশের প্রবীণদের সংখ্যা ২০২৫, ২০৫০ এবং ২০৬১ সালে হবে যথাক্রমে প্রায় আড়াই কোটি, সাড়ে চার কোটি এবং সাড়ে পাঁচ কোটি। ১৯২৫ সালে এই বাংলার মানুষের গড় আয়ু ছিল ২০ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু সাড়ে ৭১ বছর।
জাতিসংঘের কথায় ‘জীবনের সঙ্গে আমরা বছর যোগ করেছি। কিন্তু বাড়তি বছরগুলোতে জীবন যোগ করতে পারিনি।’ বাংলাদেশে বর্তমানে ৬৮ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম, কিন্তু তিন দশক পর আমাদের কলকারখানায় উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটবে। জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক একিউএম নুরুন্নবী বলেন, ‘আমরা যদি এই বয়স্ক মানুষদের সমাজের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে সমন্বয় করতে না পারি, তাহলে তারা এক সময় আমাদের দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।’ প্রবীণ নারীদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে বা তাদের সমস্যার কারণ নিয়ে একটু গভীরভাবে দেখলে উপলব্ধিতে আসে যে, তারা আসলেই মহাসাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। তবে বর্তমান সরকার প্রবীণ নারীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বাংলাদেশের নারী এখন অনেক স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমান সরকারের সময়ে তাদের যথেষ্ট ক্ষমতায়ন হয়েছে। যদিও তা শতভাগ সম্পন্ন হয়নি। নারী আজ ঘরের বাইরে বিভিন্ন ব্যতিক্রমী পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেছে। পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে শিখেছে। তারপরও নারী পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা এবং পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের জন্য বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। এ দুই ব্যবস্থার কুফল নারী প্রবীণ বয়সে সবচেয়ে বেশি ভোগ করছে। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়েও একজন নারী ব্যবসা, চাকরি বা স্বামী কর্তৃক তার জন্য রেখে যাওয়া সম্পত্তি এবং অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে পারে না। এর জন্য সন্তান কিংবা বড় ভাই বা ঘনিষ্ঠ কোনো পুরুষ আত্মীয়ের পরামর্শ এবং উপদেশের ওপর নির্ভর করতে হয় প্রবীণ নারীকে। তাই একজন নারী তিনি হোন গৃহিণী, চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী, তিনি প্রবীণ বয়সে অসহায় হয়ে পড়েন। পরিবর্তনই হচ্ছে সমাজের নিয়ম। সমাজের এই পরিবর্তনের সঙ্গে যারা তাল মেলাতে পারেন, তাদের প্রবীণ বয়সে অসহায়ত্বের শিকার হতে হয় না। পরমুখাপেক্ষী হতে হয় না। পুরুষের তুলনায় নারী একটু বেশি রক্ষণশীল হয়ে থাকেন। তাই দুর্ভোগের শিকারও প্রবীণ বয়সে নারীকেই বেশি হতে হয়। সময় থাকতেই প্রত্যেক নারীকে তার এবং স্বামীর প্রবীণত্ব নিয়ে ভাবতে হবে এবং আর্থিক পরিকল্পনা করতে হবে, যেন ছেলে-মেয়েদের শিক্ষিত এবং কর্মক্ষম করে তোলার পর তারা যদি তাদের জীবন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া, তবে সেটার কোনো আর্থিক প্রভাব যেন প্রবীণ মা-বাবার ওপর না পড়ে। সংসারে প্রবীণ নারীদের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়, গুরুত্ব দেয়া হয় না। আমাদের সমাজে বেশিরভাগ সংসারে নারীদের নিজেদের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়। তাদের মতামত কার্যকর কোনো অবস্থায় না দেখার ফলে নারীদের নিজেদের স্বাধীন মতের যে গুরুত্ব আছে, সেটিই ভুলে যায়। আর প্রবীণ বয়সে আমাদের দেশের নারীরা যে কোনো বিষয়ে মতামত দেয়া থেকে বিরত হয়ে যান এবং অবসাদগ্রস্ত ও বিষন্নভাব নিয়ে নিজেদের জীবন কাটিয়ে দেন। এমনকি চাকরিজীবী প্রবীণ নারীদের অবসর নেয়ার পর তাদের সময় কাটানোর কোনো ব্যবস্থাও নেই।
আমাদের দেশে নারী শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর তারা সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিতে যোগদান করে। বর্তমানে চাকরি থেকে অবসরের বয়স সীমা ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করা হয়েছে। বিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অধ্যাপক-অধ্যাপিকার অবসরে যাওয়ার বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করা হয়েছে। অবসর-পরবর্তী জীবনটি প্রবীণ নারী এবং পুরুষের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন, কারণ প্রবীণ পুরুষ অবসর নিলেও তিনি বাইরের জগৎ থেকে একেবারে পৃথক হয়ে যায় না। সে পার্কে কিংবা চায়ের দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে নিজেদের ভাবের আদান-প্রদান করেন। প্রবীণ নারী অবসরভোগীদের বেলায় সেটি একেবারেই কম হয়ে থাকে। প্রবীণ নারীদের বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আর্থিক সমস্যা। আমাদের দেশে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ প্রবীণ এবং অতি প্রবীণ নারী ভিক্ষা করেন নিজেদের আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে। দুই তৃতীয়াংশ প্রবীণ নারী নিজেদের কর্মজীবনের উপার্জিত আয় অবসর জীবনে নিজেদের জন্য খরচ করে না বা করতে পারে না। যেসব প্রবীণ নারী নানা কারণে শেষ বয়সে পরিবারে সন্তানদের উপেক্ষা এবং আরও নানা কারণে পরিবার থেকে বের হয়ে এসেছেন, তাদের আবাসিক সমস্যা বেশ প্রকট। প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব এএসএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘প্রবীণ বয়সে তাদের নানা কারণে চাহিদা বাড়লেও তাদের আর্থিক সক্ষমতা কমে যায় বা একেবারে না থাকায় প্রবীণ নারীর চাহিদা অগ্রাধিকার পায় না। হিতৈষী সংঘের মতো প্রবীণ নিবাস এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো সমাধান।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। পুরুষের তুলনায় নারী যেহেতু দীর্ঘজীবী হন, তাদের ভোগান্তিটাও বেশি হয়। দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, স্মৃতিশক্তি এবং হজমশক্তিও অনেক প্রবীণ নারীর কমে যায়। অনেক প্রবীণ নারী মানসিক সমস্যায়ও ভুগে থাকেন। তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বেশ প্রবীণবান্ধব। বিশেষ করে দেশের বড় সংখ্যার প্রবীণ নারীদের কল্যাণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ বেশ প্রশংসনীয়। এ দেশে ১৯২৫ সালে ব্রিটিশ সরকার প্রবর্তিত অবসরকালীন পেনশন ব্যবস্থার পর ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে যুগান্তকারী বয়স্ক ভাতা ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ৩৫ লাখ বাংলাদেশি ৫০০ টাকা করে বয়স্ক ভাতা নিচ্ছেন। সংখ্যার হিসেবে পুরুষের তুলনায় প্রবীণ নারীই এই ভাতা বেশি পেয়ে থাকেন। এছাড়া দুটি আইন হয়েছে প্রবীণদের কল্যাণেÑজাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ ও পিতামাতার ভরণপোষণ আইন ২০১৩। অবসরগ্রহণের বয়স ৫৭ থেকে ৫৯ করা হয়েছে। পেনশন সুবিধা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। পিতা-মাতাকে অন্তর্ভুক্ত করে এর মাধ্যমে সুবিধাপ্রাপ্ত সদস্য সংখ্যা ৪ থেকে ৬ জনে উন্নীত করা হয়েছে। ভিজিডি এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে প্রবীণ নারী এবং অতি দরিদ্র নারীদের কাজের বিনিময়ে এনজিওর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বাড়ানো হচ্ছে এবং সঙ্গে ৩০ কেজি চাল বা গম প্রতি মাসে দেয়া হচ্ছে। সরকার প্রতিটি বিভাগে প্রবীণ নিবাস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ঢাকা শহরে একটি নিবাসও ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিভাগ ও জেলায় এনিবাস চালু হবে। একই পরিকল্পনা আছে, প্রবীণ হাসপাতাল ও পার্কের ক্ষেত্রেও। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা এবং নবীনদের অজেয় মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
পিআইডি নিবন্ধন