প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: কভিডকালেও ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। সারা বিশ্বে বর্তমানে টিকার সংকট রয়েছে। সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি। সবাই কাজ করছে কীভাবে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়। আর এ সংকটকালেও বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা পেয়েছে ভারত থেকে। ভ্রাতৃপ্রতিম এই দুই দেশের সুসম্পর্ক সব সময়ই বিদ্যমান। বর্তমানে একটি অস্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে। আশা করি, রমজান উপলক্ষে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে একসঙ্গে প্রার্থনা করলে আমরা সবাই এ কভিড-১৯ মোকাবিলা করতে পারব।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের আগরতলা থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামী কথাগুলো বলেন।
ভ্যাকসিন প্রাপ্তির বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, সারা বিশ্বে ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে। সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি। সবাই কাজ করছে কীভাবে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়। বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি।
ভ্যাকসিনের কারণে দুদেশের সম্পর্কে ভাটা পড়বে কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে এই কূটনীতিক বলেন, বর্তমানে ভারতে টিকার মারাত্মক সংকট রয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা পেয়েছে। অন্য কোনো দেশ তা পায়নি। আমাদের সীমিত উৎপাদনের মধ্যে বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার ব্যাপারে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ খুব বড় ঢেউ। ভারতে বর্তমান অবস্থা খুব খারাপ। আমরা সবাই সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করছি। দুই দেশের মানুষের স্বার্থে কী করতে পারি, সেজন্য আমি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়েছিলাম।
এর আগে বিক্রম দুরাইস্বামী দিল্লি থেকে বিমানযোগে আগরতলা এসে পৌঁছান। চার দিনের ছুটি কাটিয়ে সেখান থেকে সড়কপথে আগরতলা চেকপোস্টে আসেন। চেকপোস্টে তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম ও আখাউড়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান। পরে তিনি সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া ১০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় ফারুকী পার্ক চত্বরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, এক কেজি তেল ও ডালসহ নানা উপকরণ। খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়–য়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮২২টি পরিবারকে পরিবারপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে দেয়ার জন্য ছয় কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ এসেছে।