সংকটে ভারতের চা শিল্প

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চা শিল্প নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের ব্যবসায়ীদের। চলতি বছরে দেশটি থেকে চা রপ্তানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি চায়ের দামেও পতন লক্ষ করা গেছে। উৎপাদন খরচের সঙ্গে ভারসাম্য কমায় বাড়ছে উদ্বেগ। খবর: ইকোনমিক টাইমস।

ভারতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংকটে রয়েছে দেশটির চা শিল্প। ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে এই শিল্প আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দামের সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ের তাল মেলানো সম্ভব হচ্ছে না।

আইটিএ’র ‘টি সিনারিও-২০২৩’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চায়ের দাম গত এক দশকে প্রায় চার শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে কয়লা ও গ্যাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন খরচ ৯ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও জানানো হয়েছে, ভারতের চা শিল্পে ক্ষুদ্র চাষিদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা গেছে। মূলত চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বৃত্ত হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় দেশটিতে বিক্রির হার ও রপ্তানি বৃদ্ধি পায়নি। তাই চাপ বেড়েছে এই শিল্পে।

শুধু উৎপাদনের চাপ নয়, এই পানীয়ের দাম বৃদ্ধি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী। তাদের মতে, ২০২২ সালের তুলনায় চলতি বছরে চায়ের দাম উদ্বেগজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। নিলামে গুঁড়া চা থেকে বিক্রয় মূল্য অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। গুঁড়া চায়ের দাম প্রতি কিলোগ্রামে ১২ দশমিক ৪৯ রুপি কমেছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে চায়ের প্রতি কিলোগ্রামের দাম ১১ দশমিক ৩০ রুপি হ্রাস পেয়েছে। অর্থডক্স বিভাগের নিলামের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোগ্রামে দাম ৯৫ রুপি কমেছে।

ইরানে শিপমেন্ট অনিশ্চিত হওয়ায় রপ্তানি কমেছে বলে জানায় আইটিএ। কারণ ইরানে বিপুল পরিমাণ চা রপ্তানি করেন ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, ভারতের মোট চা রপ্তানির ২০ শতাংশ রপ্তানি হয় ইরানে। রপ্তানিকারীরা আর্থিক চাপের জন্য পেমেন্টের সমস্যায় পড়েছেন।

এছাড়া রপ্তানি খরচও বেড়েছে। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রেখে উচ্চমানের সিটিসি, অর্থোডক্স এবং দার্জিলিং চায়ের ওপর প্রণোদনা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।