Print Date & Time : 4 August 2025 Monday 3:16 pm

সংক্রমণের মধ্যেই স্কুলে ফিরছে ইউরোপের শিশুরা

শেয়ার বিজ ডেস্ক : করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। প্রায় ছয় মাস পর ইউরোপজুড়ে বন্ধ স্কুলের দরজা শিশুদের জন্য খুলছে। তবে ইউরোপে এখনও করোনার সংক্রমণের হার বাড়ছে। খবর: এএফপি।

করোনার সংক্রমণ অব্যাহত থাকার মধ্যে স্কুল খুলে দেওয়া নিয়ে অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, স্কুল খোলায় করোনার বিস্তার বাড়তে পারে। তবে ইউরোপের সরকারগুলো স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়।

ফ্রান্সের শিশুরা গতকাল স্কুলে ফিরেছে। বেলজিয়ামের শিশুরাও স্কুলে ফিরছে। গ্রিসে আগামী সোমবার স্কুল খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। জার্মানিতে অবশ্য গত মাসেই স্কুল খোলে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্কুলের ভেতরে-বাইরে মাস্ক পড়তে হবে। গ্রিসে স্কুলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রত্যেক ক্লাসে সর্বোচ্চ ২৫ জন শিশু থাকবে।

যুক্তরাজ্যে চলতি সপ্তাহে স্কুলে ফিরেছে শিশুরা। প্রথমে সরকার বলেছিল, স্কুলে মাস্ক অপরিহার্য নয়। কিন্তু পরে তারা এ অবস্থান থেকে সরে আসে। স্পেন সরকার বলেছে, ছয় বছরের ঊর্ধ্বে সব শিশুকে সব সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া দিন অন্তত পাঁচবার তাদের হাত ধুতে হবে। শিশুদের অবশ্যই পরস্পর থেকে পাঁচ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে এসব পদক্ষেপকে যথেষ্ট মনে করছেন না অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক।

এদিকে মহামারি কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ‘কোভ্যাক্স’ নামে যে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে তহবিল জোগানের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয়ান কমিশন। যদিও ডব্লিউএইচও বলছে, জার্মানি চুক্তিতে যোগ দিয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

ইউরোপীয় কমিশন গত সোমবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা ডব্লিউএইচও’র ভ্যাকসিন প্রকল্পে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো তহবিল বরাদ্দ করবে। তবে এর মাধ্যমে ইইউভুক্ত দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিনটির ডোজ নেওয়া হবে কিনা এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি জোটটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস সোমবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিতে জার্মানি যোগ দিয়েছে এবং আমরা ইইউ সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। জোট হিসেবে ইইউ সদস্যদের যোগদানের সম্ভাবনাটিও যাচাই করছি আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এ মহামারিটি শেষ করার সর্বোত্তম উপায় হলো সংহতি, সহযোগিতা ও একতাবদ্ধ হওয়া।’ প্রসঙ্গত, সব দেশের জন্য ২০২১ সালের মধ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদকদের কাছ থেকে ২০০ কোটি কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডোজ ক্রয়ে কোভ্যাক্স নামের বিশেষ এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ডব্লিউএইচও।

ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উর্সুলা ভন ডান লেয়েন বলেন, ‘স্বল্প ও মাঝারি আয়ের দেশগুলোর সুবিধার কথা চিন্তা করে সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স প্রকল্পে গতকাল ৪০০ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দের ঘোষণা দিচ্ছে ইউরোপীয়ান কমিশন।’