Print Date & Time : 28 August 2025 Thursday 3:26 am

সংক্রমণ কমলে বইমেলার সময় বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার ১৪ দিন অমর একুশে গ্রন্থমেলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি চললেও কভিড সংক্রমণের হার কমলে মেলার সময় বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। তিনি বলেছেন, ‘করোনা সংক্রমণের হারের ওপর নির্ভর করবে মেলার পরিধি বাড়বে কি না। সংক্রমণ কমে এলে মেলার পরিধি বাড়বে।’

গতকাল বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে বইমেলা পরিচালনা কমিটির তৃতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে এ কথা জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে মেলা যথাসময়ে শুরু করতে পারিনি আমরা। তাই আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য মেলার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

কভিডের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে দৈনিক শনাক্ত রোগী বাড়তে থাকায় এবার বইমেলা পিছিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। প্রকাশক সমিতি প্রস্তাব দিয়েছিল, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ১৭ মার্চ পর্যন্ত হোক এবারের বইমেলা। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ দিন বইমেলা চালানোর কথা জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ ফেব্রুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বইমেলার উদ্বোধন করবেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বইমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারিই শেষ হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ২৮ তারিখের পর জানা যাবে। আপাতত ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই বইমেলা হবে। তবে সংক্রমণের হার কমলে বইমেলার পরিধি বাড়ানো হবে।

অন্য সময় বেলা ৩টা থেকে মেলা শুরু হয়। তবে এবার বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে বলে জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। রাত সাড়ে ৮টার পর ক্রেতা-দর্শনার্থী কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে মেলা শুরু হবে। এছাড়া বইমেলায় পাইরেটেড বই যাতে বিক্রি না হয়, সেজন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানান কেএম খালিদ। মেলাসংশ্লিষ্ট যারা টিকা নেননি, তাদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান বাংলা একাডেমির সচিব এএইচএম লোকমান।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রকাশক, স্টলের স্বত্বাধিকারী ও কর্তব্যরত ব্যক্তি এবং মেলার অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির মধ্যে যারা এখনও কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের কোনো ডোজ গ্রহণ করেননি, তাদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে ‘অমর একুশে বইমেলা, ২০২২’ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদানের বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আমরা চাচ্ছি সবাই ভ্যাকসিনেটেড থাকুক। কমপক্ষে সবাইকে কভিড-১৯-এর প্রথম ডোজের টিকা নিতে হবে।”