নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীন দেশে পুলিশ সরকারি দলের ক্যাডার হয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, ‘বর্তমান স্বাধীন দেশে পুলিশের ভূমিকা খুবই দুঃখজনক। ধানের শীষের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর সরকারদলীয় লোকজনের অব্যাহত হামলা, পুলিশের মামলা ও হয়রানি বেড়েই চলছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত এ সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।’
জগলুল হায়দার আফ্রিক অভিযোগ করেন, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন শিশির, সাইদুর রহমান ভূঁইয়া, তাজিম উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল মামুন, রাসেন্দ্র চন্দ্র দাসসহ ২৯ জন দলবাজ কর্মকর্তাকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন দলবাজ কর্মকর্তা, ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থনকারী হিসেবে স্বাক্ষরকারী কাজী সিরাজুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক রবিন কুমার লস্কর, বোয়ালমারী উপজেলায় পাঁচজন দলবাজ কর্মকর্তাকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকর্তাকে অপসারণ করে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
ঐক্যফ্রন্ট স্টিয়ারিং কমিটির এ সদস্য হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের তথ্য তুলে ধরে বলেন, নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীনদের নীলনকশা বাস্তবায়নে লিপ্ত। ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে ভোটচুরির পাঁয়তারা চলছে। শুধু ২৪ ডিসেম্বরই সারা দেশে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আজও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না, জনগণের ওপর ছেড়ে দিলাম। কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তা অব্যাহত মামলা ও গ্রেফতার চালাচ্ছে।
গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনাদের প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে। তাই সমান সুযোগ ও হামলা-মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা করবেন। তিনি বলেন, ৯০ শতাংশ জনগণ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব। জনগণ ৩০ ডিসেম্বর সুযোগ পেলে নীরব ভোট বিপ্লব হবে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু অভিযোগ করেন, ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য ভুল বুঝিয়ে এইচটি ইমাম পুলিশকে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।
