Print Date & Time : 22 July 2025 Tuesday 10:41 pm

সংবিধানে যদি কিন্তু তবে দিয়ে মৌলিক অধিকার দেয়া-না দেয়ার নামান্তর

মু. আবদুল হাকিম
সংবিধানের ৩য় ভাগে জনগণকে কিছু মৌলিক অধিকার দেয়া হয়েছে, যা ৪৪ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য। এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত। সংবিধানের মৌলিক কাঠামো জনগণের সার্বভৌমত্ব ও ক্ষমতায়নের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। মূলত মৌলিক অধিকারগুলোই গণশক্তি বা ক্ষমতার ভিত্তি। এই অধিকারগুলো দিয়ে জনগণ সব গণবিরোধী অপশক্তি, মাফিয়া শক্তি, ফ্যাসিবাদী শক্তি, অশুভ শক্তি, স্বার্থান্বেষী মহল ইত্যাদিকে প্রতিহত করে। শর্তযুক্ত মৌলিক অধিকার গণক্ষমতাকে অকেজো ও অব্যবহার্য করে তুলে। মাফিয়া বা ফ্যাসিবাদী সরকারগুলো এই যদি কিন্তু তবে অপকৌশলগুলোর সাহায্যে ঔপনিবেশিক আমলাতন্ত্র, আইন, আদালত, আইনজীবী ও গণমাধ্যম ব্যবহার করে নিরীহ জনগণের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করে। জনগণ যদি রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক হয় তাহলে কেন, কার স্বার্থে এবং কোন যুক্তিতে মৌলিক অধিকারগুলো শর্তযুক্ত হয়। যেখানে জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকারগুলোর কোথাও কোনো শর্তের উল্লেখ নেই। যেখানে রাষ্ট্রীয় শক্তি ও জুলুমের কাছে নিরীহ জনগণ চিরকাল অসহায় থাকে। বিষয়গুলো রাষ্ট্র এবং সমাজ চিন্তক, লেখক, প্রাবন্ধিক, গবেষক, অধ্যাপক, সাংবাদিক, সম্পাদক, উপসম্পাদক ও বিশ্লেষকদের বারবার ভেবে দেখার আবেদন থাকল।

মৌলিক অধিকারের কোন কোন অনুচ্ছেদে যদি কিন্তু তবে আছে, তা ধারাবাহিভাবে নিম্নে বর্ণনা করা হলো—
অনুচ্ছেদ-৩২। জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ। আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না। শর্তহীন জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা দিতে আমাদের এত দ্বিধা কেন? এটা কি ঔপনিবেশিক মানসিকতা নয়? তার মানে আমরা আমাদের জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা কালো আইন দিয়ে কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা সরকারকে দিচ্ছি? যেখানে অনুচ্ছেদ ৭০ মোতাবেক বাস্তবে সংসদে আইন বানায় একজন ব্যক্তি। যেখানে খোদ রাষ্ট্র কেবল একজন ব্যক্তি মাত্র।

অনুচ্ছেদ-৩৬। জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা, এর যে কোনো স্থানে বসবাস ও বসতি স্থাপন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।
জনস্বার্থ কি এবং যুক্তি সংগত বাধা নিষেধ কোনটি? এগুলো দেখার চূড়ান্ত ক্ষমতা কি সরকারের হাতে রাখা সমীচীন? সরকার কি ঈশ্বর? খারাপ এবং বিপথগামী সরকার এ ক্ষমতার কত প্রকার এবং কত মারাত্মক অপব্যবহার করতে পারে তার নমুনা কি আমাদের আরও দেখার শখ আছে? মাফিয়া বা ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে জনস্বার্থ ও যুক্তিসংগত বাধা নিষেধ যে কি বস্তু তা জনগণ বিগত ১৫ বছরে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে।
অনুচ্ছেদ-৩৭। সমাবেশের স্বাধীনতা। জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।

জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের কথা বলেই বিগত সরকারের আমলে পুলিশ বিরোধী দল কে সভা সমাবেশ করতে দেয়নি। পুলিশকে যুক্তি সংগত বাধা নিষেধের কথা বলে বিগত সরকারের আমলে অযৌক্তিক বাধা নিষেধ দিতে দেখা গেছে। দেশের পেশাদার গোয়েন্দা বাহিনীগুলোকে এসব অজুহাতে বিরোধী দল ও মত নির্মূল করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও যে এমনটি হবে না তার কোনো গ্যারান্টি নেই। প্রত্যেক সরকারকে কমবেশি এই ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দেখা গেছে। মৌলিক অধিকারে এইসব শর্তসমূহ মাফিয়া ও ফ্যাসিবাদী সরকারের রক্ষা কবজ যা নিরীহ জনগণকে চিরদিন ক্রীতদাস বানিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট। সংবিধানের প্রধান লক্ষ্য হবে জনগণকে ক্ষমতায়ন করা—শাসক শ্রেণিকে নয়। এটাই বুদ্ধিজীবীদের প্রধান কাজ। এ জন্য দেশে এত এত স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। শাসক শ্রেণি এবং স্বার্থান্বেষী মহলের ক্ষমতা বাড়িয়ে নেয়ার জন্য নয়। সংবিধানের এই তবে কিন্তু যদি গুলো শাসক শ্রেণি এবং স্বার্থান্বেষী মহল কে শাসন, শোষণ ও নির্যাতনে শক্তি জোগায়। শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণ করতে হলে এই বিষ্যগুলো সব সময় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। তা না হলে জনগণকে চিরদিন ক্রীতদাস হয়ে বেঁচে থাকতে হবে।

অনুচ্ছেদ-৩৮। সংগঠনের স্বাধীনতা। জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি ও সংঘ গঠন করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তির উক্তরূপ সমিতি বা সংঘ করবার কিংবা এর সদস্য হবার অধিকার থাকবে না, যদি (ক) তা নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করবার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়; (খ) তা ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ, জন্মস্থান বা ভাষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করবার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়; (গ) তা রাষ্ট্র বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জংগী কার্যপরিচালনার উদ্দেশ্যে গঠিত হয় বা (ঘ) এর গঠন ও উদ্দেশ্য এই সংবিধানের পরিপন্থি হয়।
সরকার ঈশ্বর বা অভ্রান্ত কোনো সত্তা নয়। সরকার নৈতিক হতে পারে, আবার অনৈতিকও হতে পারে। সরকার গণবান্ধব হতে পারে। আবার গণবিরোধীও হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার নিজেও তার রাজনৈতিক মতলব হাসিল করার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের সামনে বিগত সরকারের জংগী নাটকের উপমা আছে। সরকার যেমন ধর্মান্ধ হতে পারে, তেমনি দলান্ধও হতে পারে।

বাস্তবতা হলো সরকার নিজেও অনেক সময় ভয়ংকর ঘাতক রূপে আত্মপ্রকাশ করে। মানুষকে জুলুম নির্যাতন করার জন্য আয়নাঘর করে। মানুষ স্বভাবত নিরীহ এবং দুর্বল জীব। অন্যদিকে শাসক ও স্বার্থান্বেষী মহলের চারিত্রিক ও মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট হলো ভয়, ভীতি ও নিষ্ঠুরতা দিয়ে তাদের দাবিয়ে রাখা। সরকারের হাতে মানুষকে নিপীড়ন করার লাখো কায়দাকানুন আছে। তার অনেকগুলো যেমন সাংবিধানিক। আবার অনেকগুলো তেমনি অসাংবিধানিক। এমনিতেই সরকার অসীম ক্ষমতার আধার। অপরদিকে জনগণের এ মৌলিক অধিকারগুলো আত্মরক্ষামূলক এবং তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার রক্ষা কবজ। সংবিধান জনগণের দলিল। কাজেই জনগণের দলিলে জনগণকে শর্তারোপ করে ক্ষমতারহিত করা সমীচীন নয়।

অনুচ্ছেদ-৩৯। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক-স্বাধীনতা। (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হলো। (২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে। (ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের অধিকারের এবং (খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হলো।

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, সরকারের নয় এবং সে দায়িত্ব পালন করবে রাষ্ট্রের মূল উপাদান জনগণ। গাড়ি বা বিমানের নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব মালিকের। সাময়িকভাবে চালকের আসনে উপবিষ্ট চালক বা পাইলটের নয়। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে পাইলট বিমান হাইজ্যাক করতে পারে না। জনগণকে অধিকারচ্যুত করে রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখার ধারণা অযৌক্তিক। জনগণকে অবাধ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা বা বাকস্বাধীনতা দিলে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হবার আদৌ কোনো আশংকা নেই। কেননা ব্যক্তি ও সরকার ভিন্ন ভিন্ন দুটি সত্তা। এক সত্তার দায় আরেক সত্তার ওপর বর্তায় না। এখানেও জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতা, আদালত অবমাননা, মানহানি, কিংবা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা ইত্যাদি শর্তারোপ করে নাগরিকদের বাক ও ভাব প্রকাশের অধিকার থেকে ও গণমাধ্যমকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মুক্ত চিন্তা এবং অবাধ তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে এগুলো মারাত্মক প্রতিবন্ধক। বাকস্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের ক্ষেত্রে এইসব গণতন্ত্র বিরোধী শর্ত থাকার দরুণ এই দেশে স্বাধীনচেতা লেখক, চিন্তক, অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, কথক, বিশ্লেষক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও ভাবুকগণ সবসময় মাফিয়া ও ফ্যাসিবাদী সরকারের ভয়ে তটস্থ থাকে। ফলে মারা যায় জাতির বিবেক, জাতিগত স্বকীয়তা, সৃজনশীলতা, মননশীলতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কাঠামো।

অনুচ্ছেদ-৪৩। গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা কিংবা জনসাধারণের নৈতিকতা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের (ক) প্রবেশ, তল্লাশি ও আটক হতে স্বীয় গৃহে নিরাপত্তা লাভের অধিকার থাকবে এবং (খ) চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার থাকবে।
এই অনুচ্ছেদেও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা কিংবা জনসাধারণের নৈতিকতা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষের কথা বলে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারকে শর্তবন্দি করা হচ্ছে। অথচ জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে বর্ণিত কোনো মানবাধিকারের ক্ষেত্রে কোনো শর্তারোপ করা হয়নি। মানবাধিকারহীন একজন নাগরিক এবং একজন ক্রীতদাসের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। মৌলিক অধিকারগুলো শর্তযুক্ত করার কারণে জনগণের ক্ষমতায়নের পরিবর্তে জনগণের দুর্বলায়ন অনিবার্য হয়ে ওঠছে। ফলে ঘটছে না গণতন্ত্রের কাঙ্ক্ষিত বিকাশ। সরকারের নীতি সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনমত অবহেলিত এবং উপেক্ষিত হচ্ছে। লেখক, চিন্তক, কথক, উপস্থাপক, প্রকাশক, সাংবাদিক, অধ্যাপক, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক, উপসম্পাদক এবং বিশ্লেষকদের পদে পদে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। জনগণ দিন দিন জ্ঞানবিমুখ, বইবিমুখ ও পাঠবিমুখ হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তি অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

উপসংহারে সংবিধানের ৩য় ভাগে নতুন মৌলিক অধিকার হিসেবে সন্নিবেশিত করার জন্য কতিপয় প্রস্তাব নিম্নে বর্ণনা করা হলো;
নিয়োগ বা পদোন্নতি শাসকের অনুকম্পা বা দয়া নয়—অধিকার। সরকার বা আদালতের সমালোচনা করা নাগরিক অধিকার। একজন আসামি আদালতের রায় মানতে বাধ্য। কিন্তু দণ্ডপ্রাপ্ত বলে আদালতের সমালোচনা করার অধিকার থেকে তাকে কোনোক্রমেই বঞ্চিত করা সমীচীন নয়। আদালতের সমালোচনাকে আদালত অবমাননা বলে গণ্য করা সমীচীন নয়। সরকার বা আদালত কেউ ঈশ্বরের মতো সমালোচনা ও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়। মানবাধিকার নিয়ে বিশ্লেষক-বিশিষ্টজনদের সবসময় সোচ্চার থাকতে হবে। শাসক শ্রেণি এবং স্বার্থান্বেষী মহলকে শোষণ ও নির্যাতনের বুদ্ধি দেয়া জ্ঞানপাপ। বিশিষ্ট নাগরিক এবং প্রবীণদের মানববন্ধনে পুলিশের কোনো অজুহাতে লাঠিচার্জ করা উচিত নয়।

কর্মসংস্থানের অধিকার, মেধা বা যোগ্যতা মূল্যায়নের অধিকার, দ্রুত সেবা বা বিচার প্রাপ্তির অধিকার, অফিস-আদালতে ভালো আচরণ পাবার অধিকার, যোগ্যতা থাকলে মনোনয়ন পাবার অধিকার, যোগ্যতা থাকলে নেতৃত্ব পাবার অধিকার, রাষ্ট্রের নিপীড়ন ও দমনমূলক ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ বা সীমিত করার অধিকার, মামলা বা গ্রেপ্তার থেকে বাঁচার অধিকার, গায়েবি মামলা থেকে বাঁচার অধিকার, গুম, খুন ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার অধিকার, অধিকার আদায়ের অধিকার, সন্ত্রাস থেকে বাঁচার অধিকার, দুর্নীতি থেকে বাঁচার অধিকার, সুশাসনের অধিকার, সুবিচারের অধিকার, ইনসাফ চাওয়ার অধিকার, পুলিশের কাছে জবাবদিহি চাওয়ার অধিকার, প্রশাসকের কাছে জবাবদিহি চাওয়ার অধিকার, বিচারকের কাছে জবাবদিহি চাওয়ার অধিকার, হয়রানি ও ভোগান্তি থেকে বাঁচার অধিকার, হালাল রিজিক উপার্জনের অধিকার, শান্তির অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার ইত্যাদি।

রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই জানতে হবে জালেম শাসককে শর্ত দিয়ে সাংবিধানিক রক্ষা কবজ দিলে জুলুম বাড়ে এবং মজলুম জনগণকে সাংবিধানিক রক্ষা কবজ দিলে জুলুম কমে।
■ অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব