সংবিধান মেনেই সংসদ নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদ: সংবিধানসম্মতভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সকালে তার বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সংবিধানসম্মতভাবে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের জন্য বিএনপি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের আইন-আদালতের তোয়াক্কা না করে মনগড়া কথা বলাই বিএনপির স্বভাব। ভাবনায় ও চর্চায় বিএনপির একমুখী দর্শন তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের শেকড়কে দিন দিন দুর্বল করছে। গত ১৩ বছর বিএনপির আন্দোলন করার নিষ্ফল আহ্বান যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি বর্তমান প্রয়াসও নিষ্ফল হবে।

‘সরকার বেগম জিয়াকে ভয়ে বিদেশ যেতে দিচ্ছে না,’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই বেগম জিয়ার চিকিৎসা চায় কি না, তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে। যে নেত্রীর মুক্তির জন্য বিএনপি একটি মিছিলও করতে পারে না, তাদের মুখে মায়াকান্না মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বেগম জিয়া কিংবা ক্ষয়িষ্ণু বিএনপিকে ভয় পায় না, বরং তার বয়স ও স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিয়ে তার সাজা স্থগিত করেছে চতুর্থবারের মতো। এ উদারতা একমাত্র শেখ হাসিনাই দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনার উদারতাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে।

এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এ সময় তিনি বলেন, লকডাউনের পরে আবার পরিবহনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। এ অবস্থায় যাত্রীসাধারণের চলাচলের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর উত্তরায় আবার চক্রাকার বাস সেবা চালু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার পর ধানমন্ডি এলাকায় চক্রাকার বাস সেবা আবার চালুরও প্রস্তুতি রয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে, সুতরাং যে কোনো মূল্যে বিআরটিসিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বিগত সরকারের সময়ে বিআরটিসি ছিল দুর্নীতির আখড়া।

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়েও তদন্ত করতে পারেন, এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেয়া হবে না, কোনো দুর্নীতি থাকলে ব্যবস্থা নিন।

লোভ-লালসায় যারা বেপরোয়া তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি করে যাচ্ছে, তাই প্রত্যেক সেক্টরে সতর্ক থাকতে থাকার পরামর্শ দেন ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জীবনকে উপভোগ করতে কত টাকা, কত সম্পদ দরকার? মৃত্যুর পরে তো এ সম্পদ সঙ্গে নিতে পারবেন না, তখন এসব সম্পদের কী হবে?