
আমাদের অনেকের কুটিরশিল্প সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। অনেকেই কুটিরশিল্প বলতে গ্রামগঞ্জে বসবাসরত মানুষের বিশেষ কিছু কাজকে বুঝে থাকি। কিন্তু কুটিরশিল্পের ব্যাপকতা আরও অনেক বেশি। কুটিরশিল্প বলতে পরিবারের প্রাধান্যভুক্ত সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বোঝায়, যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি ও কারখানা ভবন ব্যতীত স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১০ লাখ টাকার নিচে এবং যা পারিবারিক সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এবং সর্বোচ্চ জনবল ১৫ জনের অধিক নয়। অর্থাৎ পরিবারের সদস্যদের এই শিল্পে প্রাধান্য থাকে। তথ্যমতে, কুটিরশিল্পের শ্রেণিকরণ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী আটটি শ্রেণিভুক্ত। এগুলো হলোÑ(ক) খাদ্য, পানীয়, তামাক প্রক্রিয়াকরণ শিল্প: দুগ্ধজাত, ফল প্রক্রিয়া ও টিনজাতকরণ, মৎস্য প্রক্রিয়া ও টিনজাতকরণ, বেকারি, গুড় তৈরি, পশুখাদ্য, মুরগির খাদ্য, লবণ তৈরি, মিষ্টান্ন, মধু প্রক্রিয়াকরণ, বিড়ি, হুক্কা, তামাক, জর্দা, হাঁস ও মুরগি পালন, চিড়া ও মুড়ি তৈরি ইত্যাদি। (খ) বস্ত্র ও চামড়াশিল্প: সুতা কাটা, হস্তচালিত তাঁত, বস্ত্র মুদ্রণ, জামদানি, সূচিকর্ম, নারিকেলের ছোবড়াজাত দ্রব্য, পাটের সুতা, চামড়াজাত দ্রব্য, বাটিক, সতরঞ্জি, কার্পেট ইত্যাদি। (গ) কাঠজাত শিল্প: খেলনা, কাঠের আসবাবপত্র, বেত ও বাঁশজাত দ্রব্যাদি, বাদ্যযন্ত্র, মাদুরশিল্প, কাঠ খোদাই, কাঠের কৃষি সরঞ্জামাদি, ঘর সাজানোর দ্রব্যাদি, কাঠের উপজাত ইত্যাদি। (ঘ) মুদ্রণ ও মোড়কসহ কাগজশিল্প: পুরনো কাগজজাত দ্রব্য, মুদ্রণালয়, বইবাঁধাই, কাগজের ফুল ইত্যাদি। (ঙ) রাসায়নিক, পেট্রোলিয়াম ও রসায়নজাত শিল্প: ছাপা ও রঞ্জনশিল্প, রং, আগরবাতি, প্রসাধনী সামগ্রী, বুট পলিশ, মোম তৈরি, চিরনি ও বোতাম, চক তৈরি, শ্লেট ও পেন্সিল, প্লাস্টিকের খেলনা ও ফুল ব্যাগ ইত্যাদি। (চ) অধাতব খনিজ শিল্প: চুনাপাথর ও শামুকজাত চুন, রঙিন চক, খড়িমাটি, চুড়ি ইত্যাদি। (ছ) মেশিনারি ও যন্ত্রপাতিসহ ধাতব শিল্প: লৌহজাত আসবাবপত্র, তারকাঁটা, কাঁসা ও পিতল, স্টিল ট্যাংক, মেশিনারি সামগ্রী, কৃষি যন্ত্রপাতি, চুলের ক্লিপ, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি। (জ) হস্তশিল্পসহ অন্যান্য শিল্প। অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে আমাদের ঐতিহ্যের তালিকা থেকে। একসময় এই বাংলায় উৎপাদিত হতো বিশ্বখ্যাত মসলিন। মসলিন হারিয়ে গেছে, জামদানি এখনও রয়েছে। জামদানি আমাদের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যের প্রতীক। এরই মধ্যে জামদানি বয়নের অতুলনীয় পদ্ধতি ইউনেস্কো কর্তৃক একটি অনন্যসাধারণ ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখনও কুটিরশিল্পের অন্তর্গত যে পণ্যগুলো আছে, সেগুলো উৎপাদন ও প্রসারের মাধ্যমে এই শিল্পকে যেমন উজ্জীবিত করা সম্ভব, একই সঙ্গে অসচ্ছল পরিবারের আর্থিক মুক্তিও সম্ভব।
প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যার অর্থসম্পদ আছে, তার সম্পত্তির পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যায়। অর্থাৎ ধনী আরও ধনী হচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়ন কখনও গুটিকয়েক ব্যক্তির আর্থিক সমৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে না। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন তখনই মজবুত হবে, যখন ব্যক্তি পর্যায়ে আর্থিক সমৃদ্ধি আসবে। আমাদের দেশের গ্রামের অনেক পরিবারে এখনও আর্থিক অসচ্ছলতা বিদ্যমান। পরিবারের কর্মক্ষম অনেকেই আছে বেকার। কাজ নেই, আয় নেই। এই সমস্যা সমাধানে কুটিরশিল্প হতে পারে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত। কারণ কুটিরশিল্প পরিবারকেন্দ্রিক স্বল্প পুঁজির ব্যবসা। আমাদের দেশে কুটিরশিল্পের ইতিহাস অনেক পুরনো এবং এটি একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে কুটিরশিল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কুটিরশিল্প খাতে সর্বনি¤œ ১০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা যাবে এবং সর্বোচ্চ সীমা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হবে। ঋণের সুদের হারও অনেক কম। প্রতিটি ব্যাংকে এসএমই হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে ঋণ-সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা প্রদান করবে। এছাড়া কুটিরশিল্পসহ এসএমই’র অন্যান্য খাত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের শিল্প উন্নয়নকে সংগঠিত করে অধিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়া (সাবেক ১১১টি ছিটমহল) অঞ্চলের বাসিন্দাদের জাতীয় অর্থনীতিতে মূলধারায় সংযুক্ত করা এবং তাদের সম্ভাবনাময় উদ্যোগ বিকশিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান এসএমই নীতিমালার আলোকে এ অঞ্চলের কুটিরশিল্প, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের গ্রুপভিত্তিক এসএমই ঋণ বিতরণের আওতাভুক্ত করার বিষয়ে এসএমই-সংক্রান্ত নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ১৬ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে উল্লেখ আছে, ‘নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতিকীকরণের ব্যবস্থা, কুটিরশিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ এ থেকে বিষয়টা পরিষ্কার যে, দেশের অর্থনীতিতে কুটিরশিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যে কারণে আমাদের সংবিধানে কুটিরশিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে। তথ্যমতে, কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠানের ৯৬ শতাংশ একক ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং তিন শতাংশ অংশীদারিত্বমূলক। অন্যদিকে কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এসএসসি পাসের নিচে রয়েছে ৮৩ শতাংশ মালিক। এসএসসি ও এইচএসসি পর্যন্ত ১৫ শতাংশ এবং মাত্র দুই শতাংশ ডিগ্রি বা তার অধিক। কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শুধু ৩৫ শতাংশ রেজিস্টারভুক্ত এবং ৬৫ শতাংশ রেজিস্টারভুক্ত নয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্ত করা গেলে মোট উৎপাদন আরও বেড়ে যেত।
কুটিরশিল্পের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। কুটিরশিল্পের উন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে কুটিরশিল্প ও সমবায়বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে। এই কমিটির মাধ্যমে একজন নাগরিক এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য, পরামর্শ ও অন্যান্য সেবা পেতে পারেন। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩-এর ৩০(সি) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ কুটিরশিল্প-সংক্রান্ত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩-এর ৩০ ধারা অনুযায়ী প্রথম তফসিলের ৩০ নং দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। কুটির বা লোকশিল্পী ও জনগণকে কুটিরশিল্প স্থাপনে উদ্যোগী করে তোলে এবং সমবায় গঠনে উৎসাহিত করে থাকে। বিসিক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিতে জনগণকে উৎসাহিত ও সহায়তা করে থাকে।
জাতীয় স্বার্থেই সংস্কৃতির ধারক হিসেবে ও ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার হিসেবে প্রতিটি দেশে কুটিরশিল্পকে সংরক্ষণ করা হয়। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে। তবে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের কুটিরশিল্পের চাহিদা যেমন স্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এর চাহিদা অনেক বেশি। উন্নত দেশের সঙ্গে এই খাত নিয়ে সঠিকভাবে ব্যবসায়িক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা আসবে।
ছোট এই দেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি। এখন এই জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে আমাদের দেশের প্রতিটি কর্মক্ষম ব্যক্তি তথা পরিবার স্বাবলম্বী না হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা প্রয়োজন। আমাদের দেশের গ্রামবাংলার প্রায় প্রতিটি ঘরকেই ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের ছোটখাটো এক একটি কারখানা বলা যেতে পারে, কিংবা করা যেতে পারে। প্রয়োজন এবং শখের তাগিদে তৈরি করা বেত-বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র, সুতা ও কাপড়ের তৈরি সামগ্রী, নানা রকমের শিল্পকর্ম ইত্যাদি যে কুটিরশিল্পের আঁতুড়ঘর, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এখন প্রয়োজন শখের এই কাজগুলোকে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে রূপ দেয়া।
দেশের চাকরির বাজারে শতভাগ চাকরির সুযোগ নেই। তবুও অনেকেই ছুটছে। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। গত বছর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ২০০ জন সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলো। শিক্ষাগত যোগ্যতায় বলা হয়েছিল(ক) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি/চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি বা সমমানের ডিগ্রি; (খ) মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোয় ন্যূনতম একটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের গ্রেড পয়েন্ট গ্রহণযোগ্য হবে না। আবেদনপত্র জমা নেয়ার পর দেখা গেল, দেড় লক্ষাধিক আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তারা সবাই বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করেই আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। অথচ নিয়োগ দেয়া হবে মাত্র ২০০ জনকে। এই হচ্ছে আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারের অবস্থা। সবাই সার্টিফিকেটধারী বিএ ও এমএ পাস, কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যা ছাড়া কর্মদক্ষতা নেই। তাদের পুরোপুরি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ছোট এই দেশে আদৌ সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান ধরন অনুযায়ী এই সমস্যা আরও জটিলতর হবে।
সবাই চাকরির পেছনে ছুটবে, সেটা হওয়া আসলেই উচিত নয়। সরকারের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমাদের শিক্ষিত মানুষগুলোকে কুটিরশিল্পের উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণে এগিয়ে আসা উচিত। তারা চাইলে উন্নত দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সহজ ও সুগম করতে পারে। এছাড়া এই করোনাকালে কেউ কেউ চাকরি হারিয়েছে। তারাও এই শিল্পের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নিতে পারে। কর্মদক্ষ মানুষ কখনও ক্ষুধায় মরবে না।
কুটিরশিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে কুটিরশিল্পীদের বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে যদি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করতে হবে, এর ফলে শিল্পকর্মগুলোর চাহিদা বাড়বে। শিল্পীরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে। এতে করে জাতীয় উন্নয়ন ঘটবে, প্রবৃদ্ধি হবে অর্থনৈতিক সূচকের। একই সঙ্গে, কুটিরশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পরিবার দেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করে পরিবারের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারবে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ফলাফল এরই মধ্যে আমরা পেয়েছি। সময় এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার।
যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক