সড়ক যেন মরণফাঁদ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল

আরিফ হোসেন, বরিশাল: বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের চরআইচা ৬নং ওয়ার্ড পুলের হাটের শাখা সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ দেড় বছরেও রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। পুলের হাট শাখা সড়কের সঙ্গে বরিশাল সদরসহ দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র ব্যস্ততম সড়কটির বেহাল দশায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই গ্রামের হাজারো মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেহাল দশার এ সড়কটিতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কোনো ভ্রুক্ষেপ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও শুরু হয়নি সংস্কারকাজ। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ছেন পথচারী ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের বরিশাল শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হলো এটি। স্থানীয় ব্যবসায়ী নয়ন বলেন, প্রায় ৬ বছর আগে পোলের হাট থেকে মৃধা বাড়ি পর্যন্ত শাখা সড়কের কার্পেটিং কাজ করা হয়। তবে কাজ শেষ হওয়ার এক বছরের মাথায় শাখা সড়টির বিভিন্ন স্থানের পিচ উঠে অসংখ্য স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। খানাখন্দে ভরা এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করে থাকে। তবে চরআইচা থেকে মৃধা বাড়ি শাখা সড়কে যেতে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে দুই স্থানে তৈরি হয়েছে বড় বড় দুইটি গর্ত, যা প্রায় দেড় বছর ধরে রয়েছে সড়কের মাঝে। সড়কের মাঝে গর্ত দুটি এখন গ্রামবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। শুধু তা-ই নয়, সড়কটি দিয়ে কোনো অ্যা¤ু^লেন্স, বাইসাইকেল, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট ধরনের কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। অথচ রোগী ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত শহরে যাওয়া যায় না এ রাস্তাটি দিয়ে।

গ্রামবাসী রাস্তা সংস্কারের বিষয় নিয়ে স্থায়ীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য লিটন মোল্লাকে বেশ কয়েকবার বললেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু তা-ই নয়, এ শাখা সড়কটি দিয়ে কিছু দিন আগে ইউপি সদস্য মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে তিনিও দুর্ঘটনার শিকার হন। তার পরেও তিনি গ্রামবাসীর জন্য কোনো ধরনের ভূমিকা রাখেননি। প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও যেন দেখার কেউ নেই।

বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন মোল্লা বলেন, রাস্তার মাঝে দুটি স্থান ভাঙন রয়েছে সেটা সত্য। তবে সড়কের মাঝে যে ভাঙন রয়েছে সেটি কার্পেটিংয়ের কাজ করার জন্য টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার কাজটি আজ নয় কাল বলে নয়ছয় করে যাচ্ছে।