Print Date & Time : 21 July 2025 Monday 12:43 am

সততা ও আমানতদারির চর্চায় সমৃদ্ধ হোক অর্থনীতি ও ব্যাংক খাত

রিয়াজ উদ্দিন: স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছর পার করছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানিদের দুঃশাসনে ব্যাংক খাত ছিল চরম অবহেলিত। সাধারণ মানুষ ছিল ব্যাংকিং সেবা বঞ্চিত। স্বাধীনতার এই দীর্ঘ সময়ে দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংক খাত এগিয়েছে অনেকটা পথ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক খাতের উন্নয়ন শুরু হয়। বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাত প্রযুক্তিগত সেবায় যেমন এগিয়েছে, তেমনি আকারেও বড় হয়েছে বহুগুণ। যোগ হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা, যা বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।

ব্রিটিশ আমলে মুসলিম ব্যাংকার ছিল হাতে গোনা। পাকিস্তান আমলে এদেশ থেকে অমুসলিম ব্যাংকাররা প্রস্থান করায় ব্যাংকিং পেশায় মুসলমানদের আগমন শুরু হয়। পাকিস্তান আমলে এ পেশায় পূর্ব পাকিস্তানিদের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সংখ্যা ছিল খুবই সীমিত। নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানিদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ছিল। স্বাধীনতা-পূর্বকালে মাত্র ১৪ শতাংশ ব্যাংকিং ব্যবসা পূর্ব পাকিস্তানিরা পরিচালনা করত।

পূর্ব পাকিস্তানে ১২টি ব্যাংকের মধ্যে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড (১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত), যেটি বর্তমানে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এবং ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন (১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত), যেটি বর্তমানে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডÑএই দুটি ব্যাংক ছিল পূর্ব পাকিস্তানি উদ্যোক্তাদের মালিকানাধীন। পশ্চিম পাকিস্তানিদের মালিকানায় পরিচালিত ব্যাংকগুলো এ অঞ্চল থেকে শুধু আমানত সংগ্রহ করত। বিনিয়োগ ও শিল্প উদ্যোগের ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানিদের অগ্রাধিকার দেয়া হতো। পূর্ব পাকিস্তানিদের বিনিয়োগের বা উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তারা দিত না। ফলে এদেশের মানুষের টাকায় উন্নয়ন হতো পশ্চিম পাকিস্তানে।

১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১২৭-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে স্বাধীন ব্যাংক ব্যবস্থার সূচনা হয়। ঢাকায় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের পূর্ব শাখার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এদেশে চালু থাকা ১২টি ব্যাংককে জাতীয়করণ করে ছয়টি ব্যাংকে পরিণত করা হয়। স্বল্পসংখ্যক দক্ষ ব্যাংকার তখন দেশের ব্যাংক খাতকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেন। পাকিস্তানি ও ভিনদেশি ব্যাংকার ও লুটেরাদের রেখে যাওয়া বিধ্বস্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সদ্য স্বাধীন একটি দেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে অপরিসীম পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন এদেশের ব্যাংকাররা। পাকিস্তানিরা শুধু শহরাঞ্চলে ব্যাংকের শাখা গড়ে তুলেছিল এবং ধনিক শ্রেণিকে ব্যাংকিং সেবা দিত।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সামাজিক ন্যায়বিচার ও প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং নীতিমালা ঢেলে সাজানো হয় এবং সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানোর জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকের শাখা স্থাপন করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দক্ষ দিকনির্দেশনা ও নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।

একসময় এদেশে মানুষের মধ্যে ব্যাংকবিমুখতা ছিল। মানুষ মাটির কলসিতে, বাঁশের খুঁটির মধ্যে, মাটির ব্যাংকে ও বালিশের ভেতরে তাদের টাকা-পয়সা ও সম্পদ লুকিয়ে রাখত। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ব্যাংকিং সেবা উন্নয়ন, সংস্কার ও বিস্তারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এখন ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করছে অবলীলায়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশি-বিদেশি মিলে ১৪টি ব্যাংকের মোট শাখার সংখ্যা ছিল এক হাজার ১৬৯টি। বর্তমানে দেশে মোট ৬১টি তফসিলি ব্যাংকের শাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮১২টি। এছাড়া উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক বিস্তারের মাধ্যমে বর্তমান বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌঁছে গেছে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশে মোট আমানতকারী সঞ্চয় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ কোটিতে। ওই সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোয় আমানত ছিল মাত্র ৩৩৯ কোটি টাকা, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ কোটি টাকা। স্বাধীনতা অর্জনের সময়ে দেশে ব্যাংকিং পেশাদার ছিলেন  ১৬ হাজার ২৫০ জন, যা বর্তমানে দুই লাখেরও বেশি।

১৯৮২ সালে আরব বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বেসরকারি ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের সর্বপ্রথম শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ওই বছরই ন্যাশনাল ব্যাংকসহ আরও পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং শিল্পের বিস্তার শুরু হয়।

ইসলামি ব্যাংকিং এখন বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধমান। বর্তমানে দেশে ইসলামি ধারার ব্যাংকের সংখ্যা ১০। আরও অনেক ব্যাংক বিশেষায়িত শাখা ও উইন্ডোর মাধ্যমে ইসলামি ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতের মোট আমানত ও বিনিয়োগের ২৭ শতাংশ ইসলামি ব্যাংকগুলোর। আমানত, বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্স আহরণে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র অবস্থান সবার শীর্ষে। ইউকে-ভিত্তিক দ্য ব্যাংকার ম্যাগাজিনের জরিপ অনুযায়ী বিভিন্ন সূচকে এ ব্যাংকটি বিশ্বের এক হাজার শক্তিশালী ব্যাংকের একটি।

প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকিং এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে আলাদীনের আশ্চর্য চেরাগের মতো। অ্যাপভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এছাড়া এ খাতে যুক্ত হয়েছে অনলাইন ব্যাংকিং, এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ও বিভিন্ন আ্যাপভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে গেছে ব্যাংকের শাখা, উপশাখা বা এজেন্সি। পাড়ার মুদি দোকানটিও এখন পরিণত হয়েছে ব্যাংকের শাখায়। হিসাব খোলা ও বন্ধ করা যায় ঘরে বসেই। ব্যাংকের বিনিয়োগ পাওয়াও এখন অনেক সহজ।  পণ্য ও সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এদেশের ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের দিয়ে যাচ্ছে প্রভূত সেবা।

ব্যাংকিং এখন আর শুধু আমানত আর বিনিয়োগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ব্যাংকগুলো পরিণত হয়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বহুমাত্রিক সেবা প্রতিষ্ঠানে। ব্যাংকগুলো বর্তমানে ইউটিলিটি বিলসহ অটোমেটেড চালান সিস্টেমের মাধ্যমে সরকারি ১৬০ প্রকারের সেবার বিল সংগ্রহ করে মানুষের জীবন সহজকরণে অকল্পনীয় আগ্রগতি সাধন করেছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান দুটি স্তম্ভ তৈরি পোশাক খাত উন্নয়ন এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণে ব্যাংকগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার এককভাবে সর্বোচ্চ। দেশের মোট রেমিট্যান্সের এক-তৃতীয়াংশ এ ব্যাংকের মাধ্যমে আহরিত হয়।

বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রাখছে ব্যাংক খাত। ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগকৃত এসব খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের। আমদানি, রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যসহ সব আর্থিক কার্যক্রমে ব্যাংকিং কার্যক্রমের কোনো বিকল্প নেই। দেশের রাজস্ব আয়ের বড় অংশ আসে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।

ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রমেও এগিয়ে রয়েছে ব্যাংকগুলো। শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনেও প্রচুর আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে দেশের ব্যাংক খাত। প্রত্যন্ত অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মতো ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বেশ কয়েকটি ব্যাংক।

সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নেতৃত্বে বাংকগুলো সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে একযোগে কাজ করছে।

তবে ব্যাংক খাত বড় হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোয় খেলাপি গ্রাহকের সংখ্যাও দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেড় লাখ কোটি টাকার ওপরে, যা এ খাতের জন্য আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে।

গ্রাহকদের অর্থনৈতিক অভ্যাসের পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ব্যাংক খাত বড় ধরনের হুমকির সম্মুখীন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সদিচ্ছাই যথেষ্ট বলে মনে করেন অনেকে।  গ্রাহক ও ব্যাংকার উভয়ের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটাতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন গতিশীল হবে, তেমনি গতিশীল হবে ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন।

দেশের অর্থনীতির তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র এ অর্থনীতিতে এত সংখ্যক ব্যাংক কতটা যৌক্তিক, সে বিতর্ক আমাদের নয়। তবুও দিন দিন ব্যাংকের সংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে এ খাতে আমানত-বিনিয়োগে অসুস্থ চর্চার প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে বহুগুণ, তা চোখ বন্ধ করে যে কেউ বলে দিতে পারে। ব্যাংক খাতের দিকে তাকালে সেটা সহজে অনুমান করা যায়। বছর শেষে বেশিরভাগ ব্যাংকই মুনাফার মুখ দেখে না।

বিদ্যমান ব্যাংকগুলো তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গ্রাহকদের জীবন সহজ করেছে। শাখাভিত্তিক ব্যাংকের পাশাপাশি সম্প্রতি একাধিক ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার নৈতিক অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যংক। এসব ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কি ধরণের নীতিমালায় পরিচালিত হবে, তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী ব্যবস্থা বা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে সবার আগে। শারীরিক অস্তিত্ব আছে, এমন ব্যাংকে কোন অসুবিধা হলে গ্রাহক উপস্থিত হয়ে সমাধান করার সুযোগ পান। শাখা-উপশাখা নেই, এমন ব্যাংকে গ্রাহক কতটা ক্ষতিপূরণের সুযোগ আছে, তা নিশ্চিত করে ব্যাংকিং করা উচিত। আর্থিক সেবাদানকারী কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করে যে অভিজ্ঞতা ইতোমধ্যে অনেক গ্রাহক অর্জন করেছেন।

দেশে ব্যাংক খাত বড় ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো থেকে বড় ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের মতো অনেকগুলো ঘটনা রয়েছে। এ সংকট উত্তরণে সময়োচিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। সব ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে পরিপালনের সংস্কৃতি লালন করতে হবে।

দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে ব্যাংক খাত অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ব্যাংক খাত উন্নত হলে দেশের সুষম উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। জনগণের দোরগোড়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে ব্যাংক খাতকে ভালোভাবে সাজাতে এবং একে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্যাংকার ও গ্রাহক উভয়ের মধ্যে ব্যাংকিংয়ের সকল বিধিমালা পরিপালনের সংস্কৃতি লালনের পাশাপাশি সততা, আমানতদারিতা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার বিকাশ ঘটাতে পারলে দেশের ব্যাংক খাতের অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা যায়।

ব্যাংকার

riyazenglish@gmail.com