সপ্তাহজুড়ে তিন কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত সপ্তাহজুড়ে সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬  সমাপ্ত হিসাববছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৭২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৬ মে অফিসার্স ক্লাব, ১৬, বেইলি রোড, ঢাকায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ এপ্রিল।

২০১৫ সালে সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৩৬ পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ২২৩ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৯৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৭৫৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ ছয় হাজার ৪২৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ৪১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪১ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাসসহ মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা এবং এনএভি ১২ টাকা ৯৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৫৬ পয়সা ও ১১ টাকা ৬০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২ মে সকাল  ১১টায়, স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টার, বাড়ি নং-১৯, সড়ক নং-৭, গুলশান-১, ঢাকায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৩ এপ্রিল।

২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৫৮ পয়সা এবং এনএভি ১১ টাকা ৯৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ছয় কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।কোম্পানির মোট ১১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে ৩২ দশমিক ৪১ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালক, ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও ৫৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৫০ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৬ জুলাই মাল্টিপারপাস হল, আইডিইবি ভবন, ১৬০/এ, কাকরাইল, ঢাকায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগমী ৯ মে।

২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ৫২ পয়সা এবং এনএভি ১৭ টাকা ২০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ছয় কোটি ৪৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ’১৬) ইপিএস হয়েছে ৫৯ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৬৩ পয়সা এবং মুনাফা করেছিল দুই কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৪৩ পয়সা এবং মুনাফা ছিল এক কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।