সবুজ কারখানার পুরস্কার পেল কেআর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও টেকসই উন্নয়ন বিবেচনায় এবার ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেল চট্টগ্রামের কেআর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড। এটি চট্টগ্রামভিত্তিক কেআর গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে এ পুরস্কার নেন কেআর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তসলিম উদ্দিন ।

এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। আর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্যাম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এবং বক্তব্য দেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিন।

এ বিষয়ে কেআর গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তসলিম উদ্দিন বলেন, সব ব্যবসায় ভালো সময় ও মন্দা সময় থাকে। এখন কিছুটা মন্দা পরিস্থিতি থাকলেও জাহাজ ভাঙায় বিপুল সম্ভাবনা আছে । এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য করোনা সংক্রমণের পরপর সাহস করে গ্রিন শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে রূপান্তরের কাজ শুরু করি। এ গ্রিন শিপ ইয়ার্ডের কাজে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্ববাজারে উজ্জ্বল হয়েছে। আর এ পুরস্কার আগামীতে আমাদের কাজের প্রতি অনুপ্রেরণা জাগাবে। এ বছর গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ৩০টি প্রতিষ্ঠান। পরিবেশবান্ধব কার্যপদ্ধতি, জ্বালানি দক্ষতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কর্মপরিবেশে উৎকর্ষের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। গার্মেন্ট, টেক্সটাইল, চামড়া, ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, স্টিল, শিপ-ব্রেকিং, শিপ-বিল্ডিংসহ বিভিন্ন খাতের কোম্পানিগুলো পুরস্কারের জন্য মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠান মনোনীত হয়েছে। এই তালিকা বাংলাদেশের শিল্প খাতের বৈচিত্র্য তুলে ধরার পাশাপাশি পরিবেশগত দায়িত্ব পালনের গুরুত্বকেও স্পষ্ট করেছে।

উল্লেখ্য,জাহাজ পরিবেশবান্ধব পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেআর শিপ রিসাইক্লিং পরিচিত লাভ করেছে। ১২ বছর আগে ২০১৩ সালের প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছিল। শুরু থেকেই টেকসই উন্নয়ন, শ্রমিক নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২৫০ শ্রমিক কর্মরত আছে। আর গত ১২ বছরের ৪৫টির অধিক জাহাজ ভেঙে চার লাখ টনের বেশি স্ক্র্যাপ বিক্রি করেছে।