রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনও আতঙ্ক কাটেনি। তারা সম্পূর্ণ আস্থাশীল হতে পারছেন না বাজারের প্রতি। আগের দিন জুন ক্লোজিংয়ে শেয়ারের দর যে গতিতে বেড়েছিল, গতকাল সে গতি ধরে রাখা যায়নি। গতকাল মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে, কিন্তু বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে কিন্তু ডিএসইএক্স ও ডিএস৩০ সূচক কমেছে। আবার বাজার মূলধন বেড়েছে ৩৪৫ কোটি টাকা। কয়েকদিন ধরে ব্যাংক খাতে লেনদেন কমছে।
গতকাল ব্যাংক খাতের লেনদেন মোট লেনদেনের ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মোট লেনদেনের এক-চতুর্থাংশ। অথচ কয়েকদিন আগে অর্ধেকের বেশি লেনদেন হতো ব্যাংক খাতে। এ খাতের অতিরিক্ত বিনিয়োগ বেরিয়ে যাওয়াতে গতকাল ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। মাত্র পাঁচ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। আর্থিক খাতে লেনদেন হয় ৬৬ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ। মাত্র ৯টি কোম্পানির দর বেড়েছে।
প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাত ইতিবাচক হলেও আগের দিনের তুলনায় শেয়ারের দর কমেছে। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ৫৬ কোটি টাকা বা ১১ শতাংশ। এ খাতের ৫৫ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। এ খাতের রংপুর ফাউন্ড্রির দর পাঁচ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও বিডি ল্যাম্পসের দর পাঁচ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় চলে আসে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ৫২ কোটি টাকা। এ খাতের ৬৪ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। এ খাতের ওয়াটা কেমিক্যালের দর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে টপ গেইনার হয়। জেএমআই সিরিঞ্জের দর পাঁচ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ৪৭ কোটি টাকা। এ খাতের ৩৯ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। খাদ্য খাতে ৬১ শতাংশ ও বিমা খাতে ৫৩ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে।
টেলি যোগাযোগ খাত পুরোপুরি নেতিবাচক ছিল। আমরা নেটের শেয়ার প্রায় ১৮ কোটি টাকা, ব্র্যাক ব্যাংক ১৫ কোটি, আইসিবি ১৫ কোটি, উত্তরা ব্যাংক সাড়ে ১৪ কোটি, লংকাবাংলা ফিন্যান্স ও ফরচুন সুজ ১৪ কোটি, বিবিএস কেবল্স সাড়ে ১৩ কোটি, কনফিডেন্স সিমেন্ট সাড়ে ১০ কোটি ও স্কয়ার ফার্মার আট কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হওয়ায় বাজারে নেতৃত্ব দেয়। এছাড়া গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক ও এসআইবিএলের দরপতন প্রধান সূচকের পতন ত্বরান্বিত করেছে।