Print Date & Time : 20 July 2025 Sunday 8:54 pm

সরকারকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বর্তমান সরকারকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলেছেন বলে দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ‘শুনেছি আমেরিকার কর্মকর্তারা নাকি সরকারের সঙ্গে কথা বলছে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার জন্য। এরকম শুনলে তো ভালোই লাগে। তাই আমাদের যুগপৎ আন্দোলন চলছে, চলবে। যখন সবাই মিলে রাজপথে নামবে, তখন যেতে বাধ্য হবে।

গতকাল মঙ্গলবার ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, মানবাধিকারÑভোটের অধিকার চাই’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকার ও সরকারকে যারা মদত দিচ্ছে, তাদের কারও সঙ্গে আপস নেই মন্তব্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই লড়াই যা-ই হবে, এই সরকারের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আর যারা এই সরকারকে মদত দিচ্ছে, তাদের সঙ্গেও কোনো আপস করব না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারকে যারা মদত দিচ্ছে সেটা চীন, আমেরিকা, রাশিয়া, ভারত যে-ই হোক না কেন, কারও সঙ্গেই আপস হবে না। জানুয়ারির পরে মানুষ একটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা এমনভাবে নেমেছিলাম মানুষ ভেবেছিল এই সরকার এবার শেষ। কিন্তু তা হয়নি।’

নিজেদের আন্দোলন প্রসঙ্গে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘আমরা যে আন্দোলন করেছি তাতে কখনও ভাটার (সমর্থক) টান পড়েনি। বিএনপি যদি এখন একটা সমাবেশের ডাক দেয়, তাহলে এখনও পল্টনের এক মাথা থেকে আরেক মাথা দেখা যাবে না। আমরা তো বলছি না আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে বসাব। আমরা বলছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া হোক। এটা খুবই ন্যায্য একটা দাবি।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে ভোট হয়ে গেলেই শেষ। এখন সেখানে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, কত মানুষ ভোট দিয়েছে, সেটা তারা বলে না। তারা মঞ্চ সাজিয়েছে তাতেই শেষ। ৭ জানুয়ারিতে কি কোনো ভোট হয়েছে? কোনো ভোটই হয়নি। সেখানে এক শতাংশ ভোট পড়েছে, নাকি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ভোট হয়েছে, সেটা তারা দেখে না। এই নির্বাচনে এই সরকারের কোনো প্রাপ্তি নেই। তারা কেবল ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখেছে।’

মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘২৮ অক্টোবরে যেটা হয়েছে সেটা সরকারের করা ছিল। সরকার নিজেকে রক্ষা করার জন্য যা করার দরকার ছিল সেটাই করেছে। কারণ তারা জানত যদি এই সমাবেশ ঠিকভাবে হয়ে যায়, তাহলে এই সরকার আর টিকে থাকতে পারবে না।’