Print Date & Time : 5 August 2025 Tuesday 1:46 am

সরকার মেরি টাইম খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সমুদ্র আজ অবারিত। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হলে শুধু বন্দর নয়, সারাদেশ সুফল ভোগ করবে। বাংলাদেশের সক্ষমতা কোথায় গেছে গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই। আমরা বিশ্বের সঙ্গে থাকতে চাই। মেরিটাইম বাদ দিয়ে উন্নত বাংলাদেশ সম্ভব নয়। তাই সরকার মেরিটাইম খাতে গুরুত্ব দিচ্ছে। গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন যন্ত্রপাতি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রধান গেটওয়ে হিসেবে কাজ করছে। দেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য চাহিদা, আঞ্চলিক যোগাযোগের ভৌগোলিক অবস্থানগত গুরুত্ব এবং বন্দরকেন্দ্রিক উন্নয়ন চিন্তা চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ জন্য বিদেশি অপারেটররা প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করছে। এতে আমাদের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হয়েছে।

বন্দরের এনসিটি বার্থে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল।

চবক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, গত একযুগে ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জাহাজ ভেড়ানো, ইউরোপের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, বহির্নোঙরের আওতা বৃদ্ধি, ভিটিএমআইএস, ডিজিটালাইজেশন, কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের অত্যাধুনিক কি সাইড গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযোজনের মতো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। এর ফলে বন্দরের জলসীমা বেড়েছে কয়েক গুণ, সরাসরি ইউরোপ ও আমেরিকায় জাহাজ চালাচল শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর আঞ্চলিক পণ্য পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

উদ্বোধন করা ইক্যুইপমেন্টের তালিকায় রয়েছে, ২০২২ সালে সংগ্রহ করা ২৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ৪টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ৬টি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ২টি কনটেইনার মোভার। ২০২৩ সালে সংগ্রহ করা ১৪ কেটি ১৩ লাখ টাকার ৪টি রিচ স্টেকার, ২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ৪টি ভেরিয়েবল রিচ ট্রাক, ২০২১ সালে সংগ্রহ করা ২০ কোটি ৯ লাখ টাকার ১০০ টন ক্ষমতার ২টি মোবাইল ক্রেন, ১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ৫০ টন ক্ষমতার ২টি মোবাইল ক্রেন।