শেয়ার বিজ ডেস্ক: যথাযথ রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ সোমবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে উখিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে ফেরাতে হবে। বাংলাদেশ গরিব দেশ। বাংলাদেশের পক্ষে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে দীর্ঘদিন রাখা সম্ভব নয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে সরকারের যেভাবে দাঁড়ানোর কথা ছিল, সেভাবে তারা দাঁড়ায়নি। এমনকি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে ঠিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়নি।
মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, মানবতার স্বার্থে আপনাদের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। তাদের নিরাপত্তাসহ সকল নাগরিক অধিকার দিন।’খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ১১০ টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শিশুখাদ্য ও ৫ হাজার প্রসূতি মায়ের খাদ্য তদারককারী সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া হয়েছে।
এর আগে দুপুরে খালেদা জিয়া ময়নারঘোনা এলাকায় পৌঁছান। বিএনপির ত্রাণ কমিটির প্রধান মির্জা আব্বাস আগেই ত্রাণবাহী ট্রাক সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন। এর মধ্য থেকে কিছু সামগ্রী নিয়ে খালেদা জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন।ময়নারঘোনায় ত্রাণ বিতরণ শেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাকিমপাড়ায় যান। সেখানে ত্রাণ বিতরণ শেষে যাবেন বালুখালী এলাকার শরণার্থী শিবিরে। সেখানেও তিনি ত্রাণ বিতরণ করবেন। সর্বশেষ তিনি উখিয়ার পানবাজার এলাকায় র্যাবের পরিচালিত মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করে যাত্রা শেষ করবেন।
এছাড়া খালেদা জিয়া বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের মেডিকেল টিমের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন তিনি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ আল নোমানসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা রয়েছেন।এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার গাড়িবহর উখিয়াতে পৌঁছায়। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার সার্কিট হাউস থেকে যাত্রা শুরু করে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। এ সময় তার সঙ্গে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
গেলো শনিবার সকালে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ সহায়তা উপলক্ষে ঢাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে রওনা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পথে ফেনী ও চট্টগ্রামে মিরসরাইয়ে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গণমাধ্যমকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।শনিবার রাত ১০টার দিকে খালেদা জিয়া চট্টগ্রামে পৌঁছেন। সেখানে সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করেন। এরপর রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। রাতে তিনি কক্সবাজার সার্কিট হাউসে পৌঁছেন। সেখানেই খালেদা জিয়া রাত্রিযাপন করেন।