ধর্মীয় সংগঠনগুলোর দাবির মুখে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবীর ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুরু হয় ভাস্কর্য সরানোর কাজ। রাত চারটার দিকে ভাস্কর্যটি সরানোর কাজ শেষ হয়। ভাস্কর্যটির শিল্পী মৃণাল হকও এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগেই ভাস্কর্যটি না সরালে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছিল ধর্মভিত্তিক দলগুলো। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ওই সব দল। তবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রগতিশীল ব্যক্তিরা ভাস্কর্যটি অপসারণের বিরোধিতা করে আসছিলেন।
রাত সাড়ে ১২টার পর গিয়ে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের চারদিকের ফটক লাগানো। গণমাধ্যমকর্মীরা সুপ্রিম কোর্টের পূর্ব দিকের ফটকের বাইরে অবস্থান করছেন। ভেতরে তিন-চারজন শ্রমিক ভাস্কর্যের নিচের দিকে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে কাজ করছেন। ১০-১২ জন তা তত্ত্বাবধান করছেন। সেখানে ভাস্কর্যটির স্থপতি মৃণাল হককে মুঠোফোনে কথা বলতে দেখা যায়।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে জানানো হয় যে, ভাস্কর্য সরানো হবে। আমাকে বলা হয়েছে সরাতে। ভাস্কর্যটি সরিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পেছনের দিকে এনেক্স ভবনে নেওয়া হবে। সরানোর সময় ভাস্কর্যের যেন কোনো ক্ষতি না হয় এ জন্য তদারকি করতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন তিনি।
গত ১১ এপ্রিল রাতে গণভবনে কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের এক সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে। তিনি বলেন, আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা এখানে থাকা উচিত নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাইকোর্টের সামনে গ্রিক থেমিসের এক মূর্তি লাগানো হয়েছে। সত্য কথা বলতে কি, আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। কারণ, গ্রিক থেমিসের মূর্তি আমাদের এখানে কেন আসবে। গত বছরের শেষ দিকে এ ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বসানো হয়।