নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচা পাট সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বদা পাটের বাজারদর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তিনি গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পাট) তসলিম কানিজ নাহিদা, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশেনের (বিজেএ) সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু মিয়াসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাট চাষ নিশ্চিত করতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষকদের অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সহায়তার কারণে সম্প্রতিক বছরগুলোয় পাটের উৎপাদন বহুগুণে বেড়েছে। ফলে পাটকলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে, যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, এ বছর পাট মৌসুম শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা পাট বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ মৌসুমে কাঁচা পাটের উৎপাদনও সন্তোষজনক। পাটচাষিরা ভালো পাটের ভালো দাম পাবেন। কোনো কারণে যেন কাঁচা পাটের দাম অসহনীয় না হয়, সেজন্য সর্বদা কাঁচা পাটের বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচা পাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁচা পাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুত করা থেকে বিরত রাখা, ভেজা পাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা এবং বাজারে কাঁচা পাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সময় রপ্তানি নীতি (২০২১-২০২৪) অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকায় কাঁচা পাট অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আলোচনা
হয়। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।