Print Date & Time : 3 September 2025 Wednesday 12:01 am

সাইক্লোনে বিধ্বস্ত মোজাম্বিক ও মালাউই

শেয়ার বিজ ডেস্ক:সাইক্লোন ফ্রেডির তাণ্ডবে মোজাম্বিক-মালাউইতে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এ ক্রান্তীয় ঝড়ে আফ্রিকার দেশ দুটিতে আরও অনেকে আহত হয়েছেন এবং অনেক স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর: আল জাজিরা।

এক মাসের মধ্যে গত শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে আঘাত হানে ফ্রেডি। এর আগে গত মাসে প্রথম সাগর থেকে স্থলে উঠে এসে মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক ও মালাউইতে আঘাত হেনেছিল ঝড়টি। তার পর থেকে ওই তিন দেশে এর তাণ্ডবে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঝড়টি শনিবার মোজাম্বিকের মধ্যাঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়ে অনেক ভবনের ছাদ উড়িয়ে নেয় এবং এর প্রভাবে দেশটির ক্যালেমানা বন্দরের আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। এরপর এটি মালাউইর দিকে এগিয়ে গিয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণ হয়। এতে সেখানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ গোলার্ধে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যে ফ্রেডি অন্যতম। এটি সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

মোজাম্বিকের দুর্গত এলাকাগুলোর কিছু অংশ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। সেখানে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক কাজ করছে না। ফলে এখানে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র এখনও পরিষ্কার হয়নি।

গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মালাউইর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভাগের কমিশনার চার্লস কালেম্বা জানিয়েছেন, ঝড়টির কারণে মালাউইতে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র ব্লানটায়ারে নিহত ৮৫ জন রয়েছেন।

ডক্টরস উইথাউট বর্ডার্সের (এমএসএফ) কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যারিন পিচার জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর পর্যন্ত মালাউয়ে ব্লানটায়ার শহরের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে অন্তত ৬০টি মৃতদেহ এসেছে। আহত প্রায় ২০০ জনকে এ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মূলত গাছ পড়ে, ভূমিধসে ও বন্যায় বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। অনেক মাটির ঘরের ওপর টিনের ছাদ ছিল, সেগুলো মানুষের মাথার ওপর ভেঙে পড়েছে।

পুলিশের মুখপাত্র পিটার কালায়া জানিয়েছেন, ব্লানটায়ারের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি এলাকা চিলোবি ও এনডিরানডে উদ্ধারকারী দলগুলো লোকজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।