সাউথইস্ট ব্যাংকের ঋণমান ‘এএ’ ও ‘এসটি-২’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের কোম্পানি সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ক্রিসেল।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি সাড়ে সাত শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ২৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ১৩ পয়সা ও ২৬ টাকা ৬৬ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১১ টাকা ৬৮ পয়সা, আগের বছর যা ছিল তিন টাকা ৩৭ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৩ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ২৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ২৭ টাকা তিন পয়সা।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১১ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৫ হাজার ৯৩৫টি শেয়ার মোট সাতবার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়।

কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৬৫১ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১১৫ কোটি ৯৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৭২টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে চার দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার।