সাড়ে ১৩ হাজার বর্গফুটের জাতীয় পতাকা বগুড়ায়

প্রতিনিধি, বগুড়া: স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত শুক্রবার লাল-সবুজ পতাকায় রঙিন হলো বগুড়া জিলা স্কুল মাঠ। এ পতাকা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলের টিটু, চিশতি, দোলন, খোকন, মাসুদ, সাইফুলসহ অনেক সাবেক শিক্ষার্থী প্রাণ দিয়েছেন। ৫০ বছর পর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সেই স্মৃতি স্মরণ করে রাখতে সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশের ‘সর্ববৃহৎ’ জাতীয় পতাকা তৈরির উদ্যোগ নেয়।

স্বাধীনতা দিবসের সকালে স্কুলের মাঠে সাড়ে ১৩ হাজার বর্গফুটের বৃহৎ এই জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হয়। এ সময় স্কুল প্রাঙ্গণে একটি মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন করে শহীদদের ছবি ও ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়।

জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের উদ্যোগ নেয় সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন বগুড়া জিলা স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশে এটি কাপড়ের তৈরি সর্ববৃহৎ জাতীয় পতাকা।

আয়োজকরা জানান, ১৭ সাবেক শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধানে স্কুলমাঠে বিশাল এই পতাকা তৈরি করা হয়। ৬ মার্চের কাজ শুরু হয়। কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে ১৯ দিন। দর্জি রানা মিয়াসহ ছয় দরজি পতাকা বানানোর কাজ করছেন। পতাকার দৈর্ঘ্য হবে ১৫০ ফুট, প্রস্থ ৯০ ফুট। এতে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও সোয়া তিন ফুট প্রস্থবিশিষ্ট ৪৭ থান সবুজ রঙের কাপড় ও ১৭ থান লাল রঙের কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে।

সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা প্রদর্শনী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাসুম আলী বেগ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তফী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক শিক্ষার্থী ডা. আরশাদ সায়ীদ, আকতারুজ্জামানসহ জেলার অন্য মুক্তিযোদ্ধারা।

এ কর্মসূচিতে স্কুলের বিএনসিসি, স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট ও বাদক দলের চৌকস শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। মাঠের মাঝখানে বাঁশের খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে তার ওপর পতাকা মেলে ধরা হয়। দৈর্ঘ্যে ১৫০ ফুট ও প্রস্থে

৯০ ফুট পতাকাটির আয়তন সাড়ে ১৩ হাজার বর্গফুট। এ সময়

আয়োজক ও স্বেচ্ছাসেবীরা ছাড়াও মাঠে কয়েকশ সাধারণ দর্শনার্থী এ দৃশ্য উপভোগ করেন।

পতাকা প্রদর্শনী উদ্বোধনের আগে সমবেত জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। উদ্বোধনের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন অতিথিরা।