প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু আহমেদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে জমিদখলসহ ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সামনে শত এলাকাবাসী ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কাজী অলিউল্লাহ দিং তার ৪১ বছরের ভোগদখলের ৫৯ শতক জমি বিক্রি করবেন। এ খবর জানতে পেরে আবু আহমেদের নেতৃত্বে আট মামলার আসামি রুস্তম ও জাহিদ হোসেন ওরফে টাক বাপ্পী শহরের বকচরা মেহেদী বাগের জমিতে সাইনবোর্ড দিয়ে দখলের চেষ্টা চালায়। তাদের সঙ্গে ছিলেন আব্দুল আলিম ও সামাদ আলীসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু আহমেদ দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক। সাংবাদিকতার আড়ালে প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরায় অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে তার দুর্নাম রয়েছে। কাজী অলিউল্লাহর জমি থেকে বোর্ড সরিয়ে নিতে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে আবু আহমেদের বিরুদ্ধে। অন্যতায় ওই জমির দখল কোনোভাবে ছাড়বেন না বলে ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সমাবেশে ভুক্তভোগীরা বলেন, সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের আশ্রয়দাতা আবু আহম্মেদ।
অধ্যাপক কাজী মো. অলিউল্লাহর জমি দখলের ঘটনায় গত ৩০ জুন সদর থানায় জমির মালিকের পক্ষে শরিক কাজী আতিক বাদী হয়ে পাঁচজনসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের নামে মামলা করেন, মামলা নং ৮২। মামলার পর পুলিশ তিন নম্বর আসামি আব্দুল আলিমকে গ্রেপ্তার করার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আবু আহমেদ ও টাক বাপ্পীর নাম উঠে আসে।
তাই বক্তারা ভূমিদস্যু আবু আহমেদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জমির মালিক কাজী ওলিউল্লাহর ভাইপো খুলনা ডোনার ক্লাবের সভাপতি ভুক্তভোগী কাজী আতিক, খুলনা মহানগর যুবলীগের সদস্য শেখ সুমন, কাজী ইরফাত আরাসহ জমির অন্যান্য মালিকসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।