প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তৈরি নিয়ে সংঘর্ষে আব্দুর রাজ্জাক গাইন (৬৬) নামের একজন নিহত হয়েছেন। নিহত আব্দুর রাজ্জাক হাটচালা গ্রামের মৃত ওমেদ আলীর ছেলে। শনিবার সকালে উপজেলার হাটচালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ আজিজুল ইসলাম (৪০), নুরজাহান বেগম (২৬), ইয়াকুব হোসেন ও শাহিদা বেগমকে আটক করেছে। প্রথম দু’জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করা হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানা গেছে আব্দুর রাজ্জাক গাইন ও মোঃ অলিল তরফদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকালে আব্দুর রাজ্জাক ভাড়াটে লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর বানানোর চেষ্টা করে। এ সময় অলিল তরফদার ও তার ছেলে আজিজুলের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নিহতের ভাতিজা মনির হোসেন জানান, তাদের দখলে থাকা জমির উপর আদালত সাম্প্রতি স্থিতাবস্থা জারি করেন। শনিবার সেখানে ঘর বাঁধতে গেলে অলিল তরফদারের জামাই এরশাদের নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর থেকে আসা ২৫-৩০ জন লাঠিয়াল তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় মাথায় হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে জ্ঞান হারানো আব্দুর রাজ্জাককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।
অলিল তরফদারের মেয়ে নুরজাহান বেগম জানান, শ্যামনগর থেকে ৩০-৩৫ জন ভাড়াটে লোকজন নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই শাহাদাৎ ও রওশন তাদের দখলে থাকা জমিতে ঘর বানানোর চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিলন হোসেন জানান, জরুরি বিভাগে নেওয়ার ২০-২৫ মিনিট পরে আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়। বাহ্যিকভাবে নিহতের শরীরে কোনো মারাত্মক জখম পাওয়া না গেলেও ময়না তদন্তে তার প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক শাহানুর আলম জানান, খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।