নিজস্ব প্রতিবেদক: গত এক মাসে দেশের আট বিভাগের মধ্যে সাতটিতে ছড়িয়েছে ওমিক্রন। সারাদেশ থেকে আসা ২৩৮টি নমুনা থেকে ১৪৮টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে এ তথ্য জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। গতকাল প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আইইডিসিআরে ১৪৮টি কভিডের নমুনা পরীক্ষায় ১১৮টিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যা মোট জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ। আর বাকি ৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যা হার বিবেচনায় ২০ শতাংশ।
এর মধ্যে ওমিক্রনের নতুন উপ-ধরন বিএ.১ শনাক্ত হয়েছে ৫৮ জনের, যা শতকরা হিসাবে ৩৯ শতাংশ ও বিএ.২ শনাক্ত হয়েছে ৬০ জনের দেহে, যা শতকরা হিসাবে ৪১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগের ৭০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সে ৬৫টিতে ওমিক্রন ও পাঁচটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১৮টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সে ১৪টিতে ওমিক্রন ও বাকি চারটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের ২২টির ১৫টিতে ওমিক্রন ও সাতটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
খুলনায় ১৪টির ১২টিতে ওমিক্রন ও দুটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বরিশালে ৯টির ছয়টিতে ওমিক্রন ও তিনটিতে ডেল্টা, সিলেটে ছয়টির তিনটিতে ওমিক্রন ও তিনটিতে ডেল্টা এবং রংপুর বিভাগের সাতটির তিনটিতে ওমিক্রন ও চারটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
একমাত্র ময়মনসিংহ বিভাগে গত এক মাসে কোনো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি। বিভাগটিতে দুটি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সে দুটিতেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার সাতটি ধরনের মধ্যে পাঁচটিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করে। আইইডিসিআরসহ মোট চারটি প্রতিষ্ঠান দেশে কভিডের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে। বাকি তিন প্রতিষ্ঠান হলো আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি) ও চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ)।
