সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দাবি পুঁজিবাজারের গুণগত সংস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: বিগত দেড় দশকের স্বৈরশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতায় আর্থিক খাত বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সমন্বয় নেই পুঁজিবাজারের। এ সময়ে শর্ত পূরণে ব্যর্থ এমন অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে, নিয়মিত এজিএম কিংবা লভ্যাংশ দেয় না, দুবর্ল কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি, অবৈধভাবে বিভিন্ন কোম্পানির নতুন শেয়ার ইস্যুর নামে লুটপাটের সুয়োগ দেওয়া হয়। এসব কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীররা বিনিয়োগকৃত অর্থের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত লোকসানে শিকার হয়েছে। এমনকি দেশের পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছিল না।

গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে এক স্বাক্ষাৎ কালে চট্টগ্রামের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পুঁিজবাজারের উন্নয়নের গুণগত সংস্কারের দাবিতে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। এ সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার গুনগত সংস্কারের সহায়ক ভূমিকা পালনে আশ্বাসও প্রদান করেন।

এ সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, বিগত ১৬ বছর দেশের আর্থিক খাত বিপর্যস্ত হয়েছে। এ সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হয়নি। বরং উল্টো চিত্র দেখা যায়। এ সময়ে শর্ত পূরণে ব্যর্থ এমন অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। এমন কি নিয়মিত এজিএম কিংবা লভ্যাংশ দেয় না অর্থাৎ দুর্বল কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি হয়েছে। আবার অবৈধভাবে বিভিন্ন কোম্পানির নতুন শেয়ার ইস্যুর নামে লুটপাটের সুয়োগ দেওয়া মতো কাজও হয়েছিল। এসব বিষয়ে তৎকালিন কমিশন স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। তবে এক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে। যে কোম্পানি নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে না, সেই সব কোম্পানির শেয়ার কেন আপনারা কিনবেন? এতে তো আপনারই ক্ষতি হবে।

এ সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারী করিব আহমেদ, হীরা লাল, আবদুল ওয়াহাব, কামাল আহমেদসহ বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারীর বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, গত ১৫ বছর দেশের পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছিল না। বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠী পুঁজিবাজারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, তাদের বিচার করা। আর শেয়ার কারসাজি ও অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সত্যিকারের পুঁজিবাজার গড়তে আইনি সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন।