সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে নিউলাইন ক্লথিংস লিমিটেড

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থানে উঠে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি নিউ লাইন ক্লথিংস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেযারদর কমেছে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৮ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়। এদিন কোম্পানিটির ৭ লাখ ৭ হাজার ৬০৭টি শেয়ার ৩৬৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ৫০ পয়সা ও সর্বনি¤œ ৬ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
উল্লেখ্য, বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে আছে ১০৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার রয়েছে সাত কোটি ৮৫ লাখ ৩২ হাজার ৬৫০টি। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫১ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৬৩ পয়সা। আর ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা দুই পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা ১৪ পয়সা। আর ৩০ জুন তারিখে এনএভি ছিল ২৩ টাকা ৮৩ পয়সা। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৩ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা ১২ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ২৪ টাকা ৫৫ পয়সা।
সাপ্তাহিক দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড। আলোচিত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ। তবে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তীত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৫ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১১ লাখ ৯৮ হাজার ২১টি শেয়ার ১ হাজার ৫৫৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ২৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়।
তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘বি’ ক্যাটেগরিভুক্ত এস. আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭১ হাজার ১০০। এর মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ৩৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ও বাকি ১৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ১২ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জ–লাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬০ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ৩২ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৫৯ টাকা ২৩ পয়সা (লোকসান)। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪৩ টাকা ৪৫ পয়সা (লোকসান)।
এদিকে সপ্তাহিক দরপতনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, বীচ হ্যাচারি লিমিটেডের ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ, ফু ওয়াং ফুড লিমিটেডের ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেডের ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ, এবং শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।