নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ০২ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৫ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৫টি শেয়ার মোট ৪ হাজার ৬৫১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২০ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৫ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ৩১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৩ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এদিকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ২২ পয়সা। এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৪১ পয়সা।
৩০ জুন ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ৩১ টাকা ৩৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৩৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ১ টাকা। সাপ্তাহিক লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। সাপ্তাহিক লেনদেনের তিন দশমিক ০৪ শতাংশ ছিল এই কোম্পানির দখলে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১ হাজার ৫০১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪২ দশমিক ৯১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ১৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ১১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ টাকা ৬১ পয়সা, আর ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪২ টাকা ৫ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ৯০ পয়সা। এদিকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ৪১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২৯ টাকা ৯৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৬৪ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ৫১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ৫২ পয়সা।