সাপ্তাহিক লেনদেনের সাত দশমিক ৩১ শতাংশ লাফার্জহোলসিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৭৯টি শেয়ার ৯৩০ কোটি ১৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের সাত দশমিক ৩১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সবশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ বা ৫ টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৯৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০৪ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও সম্পদ (এনএভি) আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২১) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৬৮ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন, ২০২১) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৮৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৭৩ পয়সা ছিল। এছাড়া ২০২১ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮০ পয়সা, যা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৪ টাকা ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ ছয় মাসের ব্যবধানে এনএভিপিএস ৯১ পয়সা বেড়েছে। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ৮২ পয়সা, অথচ আগের বছর একই সময় এক টাকা ৬৯ পয়সা ছিল।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা এবং ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৯১ পয়সা।

২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৬৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।