সাপ্তাহিক লেনদেনের ৪.৪৪% ইউনাইটেড পাওয়ারের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২৫ লাখ ১১ হাজার ৮৭১টি শেয়ার ৯৯ কোটি ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৪৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর তিন দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহের শেষদিনে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৯২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৩৯৫ টাকা ১০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির মোট পাঁচ লাখ ২৭৮টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৯৩ বার হাতবদল হয়, যার মোট মূল্য ছিল ১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৮৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৯৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ২৬৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪২২ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর। ওই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা আট পয়সা এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৮০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৬ টাকা ১৪ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ৯০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। আলোচিত সময় ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৫১ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৪০ টাকা ৮০ পয়সা, যা তার আগের বছর ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা ও ৪১ টাকা ২২ পয়সা। ২০১৮ সালে মুনাফা করেছে ৪৫৯ কোটি ৬৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আগের বছর হয়েছিল ৪১৭ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটেগরির ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ৮০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৭৯ কোটি আট লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৪৫ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৪৭ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার একটি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ছয় দশমিক ৫৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং তিন দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
লেনদেনে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৯৮ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ৬৭ কোটি ১৯ লাখ ২১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৯৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ৪৯ শতাংশ বা এক টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ১০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ২৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩৫ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
‘এন’ ক্যাটেগরির সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ১০৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০৯ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৩৯ দশমিক ১২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য তিন শতাংশ এবং ৪৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল মুন্নু মিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির ২৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩৯টি শেয়ার ৫৪ কোটি ২০ লাখ দুই হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৪২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ কমেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ১১ শতাংশ বা দুই টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২১৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২১৪ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২১২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২১৮ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন তিন লাখ ৪০ হাজার ২২৩টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৫০০ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর সাত কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরে শেয়ারদর ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৪৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩২ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৯৭ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা।