নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি বীচ হ্যাচারি লিমিটেডের শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ৪ টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৪৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬০৭টি শেয়ার মোট ৭ হাজার ৮০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২৬ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ১৪ লাখ এক হাজার ২১ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ১২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি বীচ হ্যাচারি লিমিটেড। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ টাকা ২৮ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৪-মার্চ, ২০২৫) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৫৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ২ টাকা ৬৬ পয়সা বেড়েছে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪৯ পয়সা, যা ২০২৪ সালের ৩০ জুনে ছিল ১২ টাকা ৪৯ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা।
২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের (উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত) ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা, আর ২০২৪ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা। এ ছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯৩ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা। এ ছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬৫ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য দেড় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭৩ পয়সা। এ ছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৬ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোম্পানিটি শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।