সাপ্তাহিক লেনদেনের ৫ শতাংশ ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৬ কোটি ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯২ শেয়ার ২০৮ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়েছে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩০ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৮৯ হাজার ১০০টি শেয়ার ৬ হাজার ৩৭১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩১ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য দুই শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৬ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯১ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৫ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাবছরের জন্য শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডোরদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। আর ২০২২ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ২৭ পয়সা (ঘাটতি)।

উল্লেখ্য, সিরামিক খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। তাদের ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ফু-ওয়াং সিরামিকের রিজার্ভে আছে ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ এবং বাকি ৬৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৬ কোটি ১২ লাখ ৫৪ শেয়ার ৯৯ কোটি ১৮৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৯ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে।

লেনদেনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা মুন্নু ফেব্রিকস লিমিটেডের মোট ২ কোটি ৯৯ লাখ ১১ হাজার ১১ শেয়ার ৯৩ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৩১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৩ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে। আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেডের মোট এক কোটি ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৭ শেয়ার ৮৯ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ২০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। ফরচুন শুজ লিমিটেডের মোট ১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার ৩১১ শেয়ার ৮৯ কোটি ৯০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ২০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়েছে। বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের মোট ২ কোটি ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩০ শেয়ার ৮৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ১৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৫ শতাংশ কমেছে।