সাপ্তাহিক লেনদেনের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ স্কয়ার ফার্মার

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসির শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ রসায়ন খাতের কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫ টাকা ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ টাকা ২৮ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৪-মার্চ, ২০২৫) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ১৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৮ টাকা ২৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ২ টাকা ৯১ পয়সা বেড়েছে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫১ টাকা ৯৪ পয়সা, যা ২০২৪ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৪২ টাকা ০৫ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৭ টাকা ৩২ পয়সা।

২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ১১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ টাকা ৬১ পয়সা, আর ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪২ টাকা ৫ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ৯০ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ৪১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২৯ টাকা ৯৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৬৪ পয়সা।

এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ৫১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ৫২ পয়সা।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১ হাজার ৫০১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১০টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।