নিজস্ব প্রতিবেদক: সমপ্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) একটি প্রতিনিধি দল বস্ত্র খাতের কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করে। মূলত সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের বর্তমান কার্যকারিতা পরিদর্শনের জন্য গিয়েছিল ডিএসইর এই দলটি। তবে কারখানা প্রাঙ্গণে গিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ পেয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৪২ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ১০ পয়সা। যার সমাপনী দরও ছিল একই। তবে দিনজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়। দিনভর মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪৭৪টি শেয়ার মাত্র ১১১ বার লেনদেন করে। যার বাজারদর প্রায় ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অন্যদিকে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ২১ কোটি ১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২ কোটি ৯৯ লাখ ৮১ হাজার ৭১৬ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ০৭ শতাংশ, এবং বাকি ৬৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭৭ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৫৬ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান ২ টাকা ২১ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭ টাকা ৪৬ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ২ টাকা ১৬ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৯ পয়সা (লোকসান)। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪১ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৯৭ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা (লোকসান)। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৫২ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৯৪ পয়সা। আর এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৭ পয়সা।