Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 1:28 pm

সাফকো স্পিনিংয়ের কারখানা বন্ধ পেয়েছে ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের কারখানা বন্ধ পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর একটি পরিদর্শক দল কোম্পানিটির কারখানা পরিদর্শনে গেলে কারখানাটি বন্ধ পায়। গতকাল সোববার এ তথ্য জানিয়েছে ডিএসই।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৪৬ পয়সা। আলোচ্য আর্থিকবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৩ পয়সা, আগের আর্থিকবছরে যা ছিল ২ টাকা ৫৬ পয়সা। গত ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৯ পয়সায়।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ আর্থিকবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি সাফকো স্পিনিং মিলস। আলোচ্য আর্থিকবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ টাকা ৯৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ৫২ পয়সা। গত ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি সাফকো স্পিনিং মিলস। আলোচ্য আর্থিকবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৫২ পয়সা। আগের আর্থিকবছরে ইপিএস ছিল ৩৩ পয়সা। গত ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ১৫ টাকা ৯৪ পয়সা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাফকো স্পিনিং মিলস মূলত স্বল্প মূলধনি কোম্পানি। এর শেয়ার সংখ্যা কম। কম শেয়ারের মধ্যে ৩০ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে যে শেয়ার আছে সেটিও খুবই নগণ্য, যা প্রতিদিন লেনদেন হয়। ফলে পুঁজিবাজারে এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারে বেশি কারসাজি করে থাকে। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটরিং না থাকায় সুযোগ পেলেই আইনবহির্ভূত কাজ করে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়।

২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ু১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২৯ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসান ২১ কোটি ১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৯৯ লাখ ৮১ হাজার ৭১৬। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩০ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৩৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৬৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।