সাবেক মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ সম্পদের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে ‘অবৈধভাবে’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় তাপসের স্ত্রী আফরিন তাপসকেও আসামি করা হয়েছে। গতকাল রোববার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তাপসের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭ টাকার সম্পদ ‘অবৈধভাবে’ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের অভিযোগ, জানা আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, তার এই সম্পদ।
এজাহারে বলা হয়েছে, তার ২৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫৩৯ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৭৮ টাকা এবং পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৫২৭ ডলারের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে তার স্ত্রী আফরিন তাপসও ছয় কোটি ৪০ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮ টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আফরিন তার ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৭০ কোটি ৮৯ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৯ টাকা এবং তিন লাখ ৯৫ হাজার ৯৬৩ ডলারের অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। সাবেক মেয়র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ এই অর্থ গোপন ও স্থানান্তরের অভিযোগ এনে এজাহারে বলা হয়েছে, তারা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনসহ দুর্নীতি দমন আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করেছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রবল আন্দোলনে পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ফজলে নূর তাপসের ফুফু। সরকার পতনের পর তাপসকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তিনি আগেই বিদেশে চলে গেছেন বলে আলোচনা আছে।

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাপসকে তলব করে সে বছর ২৪ অক্টোবর চিঠি পাঠায় দুদক। তাকে ৩ নভেম্বর বেলা ১১টায় দুদকের সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় সাবেক প্রধানমনন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপি, পুলিশের সাবেক আইপিজি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ সারির নেতাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে, তার অনেকগুলোয় তাপসও আসামি। এরই মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে এবং সরকারের অগ্রাধিকারের বেশ কয়েকটি প্রকল্পে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।