৫০ বছর পর সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল
শেয়ার বিজ ডেস্ক: সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট উন সুক ইওল। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি। খবর: বিবিসি।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বিরোধী দল প্রেসিডেন্ট উনের পদত্যাগ দাবি করেছে এবং তাকে ‘বিদ্রোহের’ জন্য অভিযুক্ত করেছে। এমনকি উনের নিজ দল পিপল পাওয়ার পার্টিও তার পাশে নেই। তার সামরিক আইন জারির প্রচেষ্টাকে দুঃখজনক অভিহিত করে এতে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তার দল।
প্রেসিডেন্ট উন বলেন, জাতীয় পরিষদ থেকে সামরিক আইন জারি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। জাতীয় পরিষদের দাবি মেনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের মাধ্যমে মোতায়েন করা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টায় জাতীয় টেলিভিশনে ঘোষণা দিয়ে সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট। ভাষণে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি ও রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানগুলোর কার্যক্রম দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সামরিক আইন জারি করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।
দেশটির ১৯০ জন মন্ত্রীসহ সাধারণ জনগণ রাজধানী সিউলে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনের সামনে হাজির হয়ে সামরিক আইন জারির ঘোষণার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। জাতীয় পরিষদে মন্ত্রীরা এর বিরুদ্ধে ভোট দিলে সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।
সামরিক আইন জারির ঘোষণায় অনেকেই ভেবেছিলেন, উত্তর কোরিয়া, সন্ত্রাসবাদ কিংবা সামরিক অভ্যুত্থানের মতো জাতীয় নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। তাই ৫০ বছর পর সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি উত্তর কোরিয়ার সামরিক আগ্রাসন এবং গুপ্তচর নেটওয়ার্কের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগের কারণ। এ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির অন্য মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ক্যাপশন: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। সামরিক আইন জারি ও তা প্রত্যাহার–সংক্রান্ত বিতর্ককে কেন্দ্র করে এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।