Print Date & Time : 19 August 2025 Tuesday 2:15 am

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এনআইডি দালাল ধরবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন ও পেজের বা গ্রুপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন করে দেয়ার কথা বলে ফাঁদে ফেলছে একটি চক্র। এদের ধরতে এবার উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জানা গেছে, আগেও বিষয়টি ইসির নজরে এসেছে। ক্ষেত্র বিশেষে গ্রুপ, পেজ ও প্রোফাইলগুলো চিহ্নিত করে তা বিটিআরসির মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধ আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে এবার সেদিকে যাচ্ছে সংস্থাটি। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রুপ, পেজ বা প্রোফাইল বন্ধ করে দিলে নতুন করে আবার খোলা হয়। এতে আসলে তেমন কাজ হয় না। তাই মামলা দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে। এছাড়া সশরীরে অনেক দালাল চক্র নির্বাচন ভবনের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। তাদেরও ধরে পুলিশের দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এনআইডি শাখার এক উপ-পরিচালক এ বিষয়ে বলেন, দালাল চক্রকে ধরার জন্য আমাদের লোকবল ওতপেতে রয়েছে। এদের ছাড় দেয়া হবে না।

এ নিয়ে ইসি সচিব শফিউল আজিম ইতোমধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের একটি লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি অফিসকে সেবাকেন্দ্র বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশে বসবাসকারী এবং প্রবাসী নতুন ভোটার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, ভোটার স্থানান্তরসহ সব কাজে সেবা প্রার্থীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা দিতে হবে। কোনো সেবা প্রার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং কোনো দালাল সুযোগ না পায় সেজন্য প্রত্যেকটি অফিসের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ক্লোজ মনিটরিং করতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ সেবাগ্রহিতার সন্তুষ্টি অর্জন ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা দিতে সবাইকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম ব্যতীত অন্যান্য অঞ্চলের নাগরিকদের এনআইডি সেবা আরও সহজ হচ্ছে। মূলত সময় কমছে। কেননা এখন থেকে সমতলের কেউ নতুন ভোটার হতে এলে আঙুলের ছাপ রোহিঙ্গা ডাটাবেজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে না। এতে সময় কম লাগবে। আগে কেউ আবেদন করলে আগে তার আঙুলের ছাপ ১০ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হতো। এখন এ ব্যবস্থা কেবল চট্টগ্রাম অঞ্চলের নতুন ভোটারদের ক্ষেত্রে বলবৎ থাকবে।