নিজস্ব প্রতিবেদক: সামিট পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ সভা আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ২টা ৩০ মিনিটে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল কোম্পানিটির তিন কোটি ৪৭ লাখ আট হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে আট লাখ ৬৫ হাজার ২৬৮টি শেয়ার মোট ৩৭৯ বার হাতবদল হয়। গতকাল শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪০ টাকা ১০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৩৩ টাকা থেকে ৪৬ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানি। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ নগদ ও ছয় শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৭৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭৩ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ২৬ পয়সা ও ২৬ টাকা ৪৩ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় করেছে ৪২৪ কোটি আট লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২২১ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৮৭৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা চার পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৯৬ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে আট পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৪৪ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় ছিল ২৬ টাকা ৪৮ পয়সা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫৬ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৫ দশমিক ১৫ শতাংশ, বিদেশি তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।