সামেক হাসপাতালে কভিড উপসর্গে সাতজনের মৃত্যু

সৈয়দ মহিউদ্দীন হাশেমী, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় কভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সামেক হাসপাতালে চলতি মাসে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ কভিডের নানা উপসর্গ নিয়ে গত ২৮ জুলাই থেকে ১০ আগস্টের মধ্যে বিভিন্ন সময় এই রোগীরা সামেক হাসপাতালের কভিড ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টার বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে জেলায় ১৩ আগস্ট সকাল পর্যন্ত কভিড আক্রান্ত হয়ে মোট ৮৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ৫৮৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিরা হলেনÑশ্যামনগর উপজেলার বংশিপুর গ্রামের মৃত বশির গাজীর স্ত্রী মোমেনা খাতুন (৬০), পাতড়াখালী গ্রামের মৃত আমজাদ গাজীর ছেলে নুর ইসলাম গাজী (৭০) ও কলবাড়ি গ্রামের লক্ষণ চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে প্রভাষ চন্দ্র মণ্ডল (৭০)। কালীগঞ্জ উপজেলার আমিয়ান গ্রামের পানু মোল্যার ছেলে জবেদ আলী মোল্যা (৬৫), পরমান্দকাটি গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী সরদারের ছেলে মুজিবর সরদার (৭০), একই গ্রামের মৃত রাসেক আলী সরদারের ছেলে আমজাদ সরদার (৬৩) ও লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের নুর ইসলাম গাজীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩২)।

জেলা কভিডবিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় কভিড উপসর্গে মারা গেছেন সাতজন। এ সময় ২৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৬ জনের কভিড শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯২টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জন ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট কিটে ১৪১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের কভিড শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, জেলায় ফের বেড়েছে সংক্রমণের হার।

তিনি বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত মোট কভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার ২৮১ জন। সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ১৬০ জন। বর্তমানে জেলায় কভিড রোগী রয়েছেন এক হাজার ৩৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি কভিড রোগীর সংখ্যা ১৭ জন। তাদের ১৫ জন সরকারি হাসপাতালে ও বাকি দুজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ১৮ জন।

সামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৩ আগস্ট সকাল পর্যন্ত মোট ১৪৭ জন রোগী সামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ১৩৭ জন কভিড উপসর্গ ও বাকি ১০ জনের কভিড পজিটিভ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩০ জন। আইসিইউতে আছেন আটজন।