নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ২৭ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার সকালে। চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া আগামী তিন দিন সারাদেশে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের দেয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, দেশের আট বিভাগের মধ্যে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিভাগে ঢাকা জেলা বাদে সব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ বিভাগের কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে রেকর্ড করা হয়নি।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছিল। তবে কিছু জায়গায় প্রশমিত হয়েছে এবং মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
১০ ডিগ্রির নিচে যেসব জেলার তাপমাত্রাÑ ঢাকা বিভাগ: টাঙ্গাইল ৮ দশমিক ৫, ফরিদপুর ৭ দশমিক ৫, মাদারীপুর ৮ দশমিক ৩, গোপালগঞ্জ ৭ দশমিক ৮, নিকলি ৮ দশমিক ৬। রংপুর বিভাগ: রংপুর ৯ দশমিক ৬, দিনাজপুর ৮ দশমিক ৪, সৈয়দপুর ৮ দশমিক ৬, তেঁতুলিয়া ৭ দশমিক ১, ডিমলা ৮ দশমিক ৫, রাজারহাট ৭ দশমিক ৫। রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহী ৭ দশমিক ৮, ঈশ্বরদী ৮, বগুড়া ৯, বদলগাছী ৯, তাড়াশ ৮ দশমিক ৪।
চট্টগ্রাম বিভাগ: সীতাকুণ্ড ৯ দশমিক ৪, কুমিল্লা ৯ দশমিক ৯। সিলেট বিভাগ: শ্রীমঙ্গল ৯ দশমিক ২। বরিশাল বিভাগ: বরিশাল ৮ দশমিক ৪, ভোলা ৯ দশমিক ৫। খুলনা বিভাগ: খুলনা ৯ দশমিক ৪, সাতক্ষীরা ৯ দশমিক ৫, যশোর ৮ দশমিক ৬, কুমারখালী ৯।
তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।