Print Date & Time : 22 July 2025 Tuesday 2:55 pm

সারাদেশে ৯৯.৪৩ শতাংশ গার্মেন্টই খোলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীসহ সারাদেশে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ৯৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ গার্মেন্টই খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিজিএমইএ বলছে, সারাদেশে মোট দুই হাজার ৯৩টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে দুই হাজার ৮১টির কার্যক্রম চলছে। সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকায় সাময়িকভাবে বন্ধ বা ছুটি রয়েছে ১২টি কারখানার (০.৫৭ শতাংশ)। অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধ করেছে এক হাজার ৯৯২টি কারখানা, শতকরা হিসেবে যা ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। অক্টোবরের বেতন দেয়নি ১০১টি প্রতিষ্ঠান (৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ)।

দুই হাজার ৯৩টি কারখানার মধ্যে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৭০টি, সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকায় ৪০১টি, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ১৯৯টি, ডিএমপি এলাকায় ৩০০টি এবং চট্টগ্রাম এলাকায় ৩২৯টি কারখানা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শুধু আশুলিয়া ও জিরানি এলাকার ১২টি কারখানা বন্ধ। এছাড়া খোলা রাখার পর কাজ বন্ধ, ছুটি বা শ্রমিকরা চলে গেছে এরকম কারখানার সংখ্যা আটটি।
শ্রমিকদের বাধার কারণে যেসব কারখানা কার্যত অচল সেগুলো হলো বেক্সিমকো গ্রুপ, ডরিন গার্মেন্ট (১৩/১ ধারায় বন্ধ), ডরিন অ্যাপারেলস (১৩/১ ধারায় বন্ধ), ডরিন ফ্যাশন (১৩/১ ধারায় বন্ধ), আইরিশ ফেব্রিক্স, কেএসি কোম্পানি লিমিটেড, এক্সাকো লিমিটেড, ওয়াইপি গাজীপুর লিমিটেড, হামিম নিটওয়্যার, অকোটেক লিমিটেড ও উত্তরা নিটওয়্যার লিমিটেড।

শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বলা আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা বিভাগে বেআইনি ধর্মঘটের কারণে মালিক ওই শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারবেন। একই সঙ্গে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা কোনো মজুরি পাবেন না।