Print Date & Time : 20 August 2025 Wednesday 5:30 pm

সাশ্রয়ী, টেকসই ও দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহারে জনসচেতনতা জরুরি

অমৃত চিছাম: বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের যুগ। সারা বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানোর এক অনন্য প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যায়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। আর এই উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করে থাকে। আমাদের দেশও প্রযুক্তিতে বহুদূর অগ্রগতি সাধন করেছে। আর প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে যে বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তা হলো বিদ্যুৎ। বর্তমানে এমন একজন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না যে কিনা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে না।

বিদ্যুৎ ব্যবহারের অন্যতম প্রধান কারণ হলো প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে অধিক পরিমাণ ইলেকট্রনিকস ডিভাইস-সামগ্রীর ব্যবহার। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্যমতে, দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিটি সদস্য কোনো না কোনোভাবে ইলেকট্রনিকস ডিভাইস-সামগ্রী ব্যবহারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আর মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে বিদ্যুৎ। পরিসংখ্যান থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এ বিশাল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বিবেচনা করলে সহজেই অনুধাবন করা যায় দেশে প্রতিদিন কী পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নশীল হওয়ার দরুন এ দেশে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন অনেক উন্নয়ন কর্মযোগ্য। আর এসব অধিকাংশ উন্নয়নকাজে দৈনিক বিপুল পরিমাণ চাহিদা রয়েছে বিদ্যুতের। দিন দিন যে হারে কলকারখানা, দোকানপাট, অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠনের সৃষ্টি হচ্ছে তার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো বিদ্যুৎ, যা কিনা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কথা মনে করা যেতে পারে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সারাবিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে ইউরোপে কী পরিমাণ জ্বালানি সংকট হয়েছিল তা প্রায় আমাদের সবারই জানা। যার পরোক্ষ প্রভাব বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতেও পরিলক্ষিত হয়েছিল বেশ কিছু মাস। এর পরেই টনক নড়ে জ্বালানির বিকল্প উৎস ব্যবহার করার। সারাবিশ্বের মতো দেশেও আলোচনা হয় বিভিন্ন ধরনের বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়ে।

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচলিত ও জনপ্রিয় উৎসগুলো হলো, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা। আর দুঃখের বিষয় এই যে, তিনটিই হচ্ছে জীবশ্ম জ্বালানিনির্ভর, যা কি না সরাসরি গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গত বছর সারা বিশ্বে নির্গত হওয়া গ্রিন হাউস গ্যাসের, প্রায় ৭৩ শতাংশই এসেছে জ্বালানি খাত থেকে। তাই এখন সময় হয়েছে জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সরে এসে সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানির বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার। এ ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ হবে, সেই সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উš§ুক্ত করতে পারে সৌরশক্তি। একটি টেকসই, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনে সৌরশক্তির রয়েছে অপার সম্ভাবনা। দেশে বিদ্যুৎ শক্তির মিশ্রণকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে, এছাড়া ঐতিহ্যগত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে, একটি সবুজ ও অধিকন্তু টেকসই ভবিষ্যতে অবদান রাখতে এই পুনর্নবীকরণযোগ্য সম্পদের ব্যবহারে আরও সচেতন হতে হবে। সৌরশক্তির বহুবিধ ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, পরিচ্ছন্ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। পৃথিবীর সব শক্তির মূল উৎস হল সূর্য।

সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকে সৌরশক্তি বলে। সাধারণ অর্থে সৌরশক্তি হলো সূর্যরশ্মিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া। আর রূপান্তরের এই কাজটি দুইভাবে সংঘটিত হয়ে থাকেÑপ্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। প্রত্যক্ষভাবে সূর্যরশ্মিকে ব্যবহার করাকে ফোটো ভোলটাইক (পিভি) বলা হয়। প্রাথমিকভাবে ছোট ও মাঝারি পরিসরে এর ব্যবহার হয়ে থাকে। আর পরোক্ষভাবে সূর্যরশ্মিকে ব্যবহার করাকে বলা হয় ঘনীভূত সৌরশক্তি বা কনসেনট্রেডেট সোলার পাওয়ার (সিএসপি)। সূর্য থেকে প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ শক্তি পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় তা সূর্যের উৎপন্ন শক্তির দুইশ কোটি ভাগের এক ভাগ মাত্র। বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, প্রতি বর্গমিটারে সূর্য প্রায় ১ হাজার ওয়াট শক্তি বর্ষণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত অনুয়ায়ী, দেশের মোট আয়তনের এক ভাগ জায়গা ব্যবহার করে ৪০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। আর এই সৌরশক্তির অফুরন্ত ভাণ্ডার আমাদের প্রতিদিনের নানারকম কাজের চাহিদা মিটিয়ে ও ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতেও সক্ষম। সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে মানুষের মাঝে চিন্তাভাবনার উদ্ভব হয়েছিল ১৮৬০-এর দশকে। সৌর প্রযুক্তি নিয়ে তখন থেকেই মানুষের নানামুখী আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছিল। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের একটি বাড়ির ছাদে ১৮৮৪ সালে সর্বপ্রথম সৌরবিদ্যুৎ তৈরি করা হলেও এর প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ত্রুটি থাকায় তেমনভাবে সফলতার মুখ দেখেনি। দেশে সৌরবিদ্যুতের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের দিকে। ২০০৯ সালে দেশে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করত মাত্র ৯৬ হাজার পরিবার। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৬০ লাখের বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) দেয়া তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে প্রতিদিন নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে মোট ১১৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। যার মধ্যে সিংহভাগই আসছে সৌরশক্তি থেকে, আর এ উৎস থেকেই প্রায় ৯৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এই পরিসংখ্যান থেকে প্রাপ্ত তথ্য হতে সহজেই অনুধাবন করতে পারি ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনে কী পরিমাণ সম্ভাবনা রয়েছে সৌরবিদ্যুতের, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ পূরণ হবে সৌরশক্তি থেকে। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশ এখন পর্যন্ত এই লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪.৫ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদ্বার হতে পারে সৌরশক্তি। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১৯টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৪ একর খাসজমি আছে। দেশে বিদ্যমান এই বিপুল পরিমাণ খাসজমির মাত্র ৫ শতাংশ ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রায় ২৮ হাজার ১০৬ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। যথাযথ প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে শুধু চট্টগ্রামেই ২২ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে দেশে প্রতি বছর বোরো মৌসুমে প্রায় বিশ লাখ একর চাষযোগ্য জমিতে ১৬ লাখ ৩০ হাজার সেচপাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে সিংহভাগ অর্থাৎ ১৬ লাখ একর জমি চাষ করার জন্য ব্যবহার করা হয় ১০ লাখ ৮০ হাজার বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্প। অবশিষ্ট প্রায় সবগুলোই ডিজেলচালিত সেচপাম্প। আর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সারাদেশে ব্যবহƒত বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত সেচপাম্পগুলোকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হলে বছরে প্রায় ৭৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ও ৮০ কোটি লিটার ডিজেল সাশ্রয় করা যাবে। এর ফলে একদিকে যেমন ডিজেল ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সরকারের ৮৫৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে অন্যদিকে ঠিক তেমনিভাবে দেশের জাতীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধির পথে কিছুটা অগ্রসর হবে। সারাদেশে চলাচল করছে কয়েক লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। আর এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের প্রধান ফুয়েল হিসেবে ব্যবহার করা বিদ্যুৎ। প্রতিদিন এক লাখ ইজিবাইক বা রিকশার ব্যাটারি চার্জ দিতে জাতীয় গ্রিড থেকে প্রায় ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। কিন্তু শুধু সৌরশক্তিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে ওই সব যানবাহনের ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্য যে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন হতো তা বহুলাংশে সাশ্রয়ী হবে। দেশের ফুয়েলিং স্টেশনগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে নেট মিটারিং পদ্ধতির আওতায় আনা সম্ভব হলে কোনো জ্বালানি আমদানি ছাড়াই দেশের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সৌরশক্তি থেকে পাওয়া সম্ভব। দেশে নবায়নযোগ্য শক্তি বা জ্বালানির ব্যবহার ও এর উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি কার্যকর হয়। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-স্্েরডা অ্যাক্ট-২০১২ প্রণয়ন করে বাংলাদেশ সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস হিসেবে সৌরশক্তিকে শনাক্ত করেছে। ‘এসডিজি ৭’ এ বলা হয়েছে যে, সাশ্রয়ী, টেকসই ও দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের প্রতি জনসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে। যাতে জনসাধারণের ব্যবহƒত জ্বালানি পরিবেশের ওপর কোনো প্রকার নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে। পরিশেষে বলা যায়, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে যেহেতু কোনো প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হয় না, সেহেতু কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদনে অধিক পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করা হলে একদিকে যেমন অধিক পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার শঙ্কা থাকত ও ঠিক তেমনিভাবে জ্বালানির ব্যবহারের জন্যও আলাদা অর্থ গুনতে হতো। যেহেতু সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির কোনো রূপ ব্যবহার হয় না, সেহেতু পরিবেশর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাটি, পানি, বায়ুদূষণের কোনো সম্ভাবনা থাকে না। দেশে সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা ও উপযোগী পরিবেশ। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে বিদ্যুৎ খাতে অভাবনীয় পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে, লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি বহুলাংশে দূর হবে। সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করতে পারলে বিদ্যুৎ সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হবে, সেই সঙ্গে জ্বালানি খাতে ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এতে ফলে বর্তমান বৈশ্বিক সংকটও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন হতে হবে, যাতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়। আরও উত্তরোত্তর গবেষণা ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে ওই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তর করতে হবে। আর সৌরবিদ্যুৎ যেহেতু নবায়নযোগ্য সম্পদ। তাই এর শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। জনগণের উচিত যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজেদের আচরণে পরিবর্তন আনা, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজšে§র জন্য একটি সুস্থ সুন্দর তথা দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশ রেখে যেতে পারি।

শিক্ষার্থী
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
ত্রিশাল, ময়মনসিংহ