নিজস্ব প্রতিবেদক: সিগারেট কোম্পানিতে সরকারের সামান্য শেয়ার এবং একাধিক প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। যারা তামাক কোম্পানিতে আছেন তারা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হন। এজন্য তারা সবসময় কোম্পানির স্বার্থ দেখেন, দেশের কল্যাণ বা জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন তাদের কাছে উপেক্ষিত থেকে যায়। যা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান বাধা। এজন্য তামাক কোম্পানি হতে সরকারের শেয়ার এবং প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এমপি।
তিনি আরও বলেন, উদ্বেজনক বিষয় হলো, তরুণদের যাতায়াতে করে এমন স্থানগুলোতে ধূমপানের আলাদা স্থান করে দিয়ে নেশায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তামাকের কারণে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। জিডিপি এবং সার্বিক প্রবৃদ্ধিতে এর প্রভাব পড়ে। একটি পরিবারে উপার্জন সক্ষম মানুষ তামাকের কারণে মৃত্যুবরণ করলে পরিবারে চরম প্রভাব পড়ে। এজন্য তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। শক্তিশালী আইনের মাধ্যমে তামাক নির্মূল করা প্রয়োজন।
মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন অসীম কুমার উকিল এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস-বাংলাদেশের হেড অব প্রোগ্রামস্ মো. শফিকুল ইসলাম। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।