শেয়ার বিজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে সিঙ্গাপুর ত্যাগ করেছেন। সিঙ্গাপুরে গোতাবায়ার স্বল্পমেয়াদি ভিজিট পাসের মেয়াদ গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়। তারপরই তিনি সিঙ্গাপুর ছাড়েন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে সিঙ্গাপুরের ইমিগ্রেশন ও চেকপয়েন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, গোতাবায়া বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর ত্যাগ করেছেন। খবর: এনডিটিভি, রয়টার্স।
সপ্তাহ কয়েক সিঙ্গাপুরে থাকার পর শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন তিন প্রত্যক্ষদর্শী। বৃহস্পতিবার একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে তিনি ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে নামেন। কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকায় তিনি থাইল্যান্ডে এমনিতেই ৯০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
তুমুল বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো গোতাবায়া এ নিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় কোনো দেশে সাময়িক আশ্রয় নিলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তার থাইল্যান্ড যাওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে গোতাবায়ার নগররাষ্ট্রটি ছাড়ার খবর নিশ্চিত করেছিল।
শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে ১৪ জুলাই সিঙ্গাপুরে পৌঁছানো গোতাবায়া থাইল্যান্ডে অল্প কিছুদিনই থাকবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
স্বাধীনতার পর গত সাত দশকে দেখা সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটে বীতশ্রদ্ধ জনগণের নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পালিয়ে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরই শ্রীলঙ্কার সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তার কয়েক দিন আগে হাজারো বিক্ষোভকারীকে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয়ে ঢুকে সেগুলোর দখল নিতে দেখা গিয়েছিল। মাঝপথে দায়িত্ব ছাড়া প্রথম এ লঙ্কান প্রেসিডেন্টের থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার ইচ্ছা নেই এবং তিনি স্বল্প সময় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে থাকবেন বলে জানিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদউইনাই বলেছেন, গোতাবায়ার থাইল্যান্ডে অবস্থানের বিষয়ে শ্রীলঙ্কা সরকারের সমর্থন আছে। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক পাসপোর্ট তাকে ৯০ দিন থাকার সুযোগ দিচ্ছে।
শ্রীলঙ্কা ছাড়ার পর গোতাবায়া রাজাপক্ষকে কখনোই জনসমক্ষে দেখা যায়নি, কোনো বিষয় নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্যও করেননি। থাইল্যান্ডে নামা বা থাকা প্রসঙ্গে রয়টার্সও তাৎক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।