সিডিএতে ভূমি নিবন্ধনে দীর্ঘসূত্রতায় ক্যাবের উদ্বেগ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ এর কারণে সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু নেই। এর মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (সিডিএ) চলছে তুঘলকি কাণ্ড। ভূমি নিবন্ধনের প্রত্যয়নপত্রের জন্য সিডিএতে দাখিল করা ফাইল বছরের পর বছর পড়ে থাকলেও অনুমোদন না হওয়ার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে সিডিএর জটিলতা দূর করে সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমানোর দাবি জানিয়েছে ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। সিডিএ ফের প্লট ও ফ্ল্যাট ব্যবসায় ঝুঁকলেও প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে।

গতকাল এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান প্রমুখ এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারণে সেবা প্রার্থীরা এখন সরকারি অফিস-আদালতে না গিয়েও অনলাইনে সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন। কিন্তু ঠুনকো অজুহাতে ভূমি নিবন্ধনের অনাপত্তি ছাড়পত্রদানের মতো ঘটনায় বছরের পর বছর কালক্ষেপণের কারণে গ্রাহকরা নানা জটিলতায় ভুগছেন। বিশেষ করে যারা ঋণ নিয়ে ভূমি, ফ্ল্যাট কিনেছেন তাদের ঋণের বিপুল পরিমাণ সুদ গুনতে হতে হচ্ছে।

নেতারা বলেন, সিডিএর আওতাধীন আবাসিক এলাকায় ভূমির মালিকানা হস্তান্তরে অতিরিক্ত ফিস নির্ধারণের কারণে ভূমি হস্তান্তর ও জমির নিবন্ধনসহ নানা জটিলতার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সিডিএর আওতাভুক্ত আবাসিক এলাকায় জমি বিক্রি ও হস্তান্তর থমকে গেছে। অনেকে প্রয়োজনে জমি কিনলেও অতিরিক্ত নিবন্ধন ফিসের কারণে ভূমি নিবন্ধন করতে পারছেন না। আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় কাটা প্রতি ভূমি হস্তান্তর ফিস তিন লাখ ১০ হাজার টাকা, আর তার ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ এবং মৌজা ভ্যালু কাটা প্রতি ৪৫ লাখ টাকায় উন্নীত করায় জমি কেনাবেচা নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে। অনেকে হেবা বা চুক্তিনামা করে আপাতত কাজ সারছেন। ফলে সরকার একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছেন। আবার আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা সরকারের পাশাপাশি সিডিএকেও দুই ধরনের নিবন্ধন ও হস্তান্তর ফিস দিতে বাধ্য হচ্ছেন, যা অনেকটাই এক দেশে দুই আইনের মতো।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, সরকার ভূমি নিবন্ধন খাতে কর বাড়ানোয় অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার জমি কিনতে আগ্রহী হলেও নিবন্ধন খরচের ভয়ে কিনছেন না। তাই শিগগির ভূমি নিবন্ধন ছাড়পত্র দান, নিবন্ধন খাতে ফিস কমানোর পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় ভূমির মালিকানা হস্তান্তরের অতিরিক্ত ফিস কমানো উচিত বলে মন্তব্য করেন তারা।