শেয়ার বিজ ডেস্ক: আন্তঃপ্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্য চুক্তিতে (সিপিটিপিপি) যুক্তরাজ্যের জোগদান আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। খবর: বিবিসি।
গতকাল রোববার নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বর্তমান ১১টি সদস্য দেশ যুক্তরাজ্যকে সবুজ সংকেত দিয়ে একটি দলিলে স্বাক্ষর করেন।
যুক্তরাজ্য মূল ১১টি সদস্য দেশের পর এই চুক্তিতে যোগদানকারী প্রথম দেশ। দেশটির যোগ দেয়ার ফলে এ চুক্তির অর্থনৈতিক পরিধি প্রথম ইউরোপে সম্প্রসারিত হলো।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার এক বছর পর ২০২১ সাল থেকে যুক্তরাজ্য এই বাণিজ্যিক জোটে যোগ দেয়ার জন্য আলোচনা চালিয়ে এসেছে। ব্রেক্সিট চুক্তির পর যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ৪ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যের যোগ দেয়ার পর এ বাণিজ্যিক জোটের আনুষ্ঠানিক সদস্য-সংখ্যা হবে ১২। জোটের সদস্য দেশগুলোর জনসংখ্যা প্রায় ৫৮ কোটি, যেখানকার মোট জিডিপির পরিমাণ হবে প্রায় ১৫ লাখ কোটি ডলার। বিশ্বের মোট আয়ের ১৩ শতাংশ আসে এ দেশগুলো থেকে।
যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য সচিব কেমি ব্যাডেনোচ বলেন, জোটের সব সুযোগ-সুবিধা পাবে যুক্তরাজ্য। সাংবাদিক লরা কুয়েন্সবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা এ চুক্তির পূর্ণ ব্যবহার করব।
জোটের অন্য সদস্য দেশগুলো হচ্ছেÑঅস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, কানাডা, চিলি, জাপান, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম।
চুক্তি অনুযায়ী, দেশগুলো শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি করতে পারে। যুক্তরাজ্য যোগ দেয়ার তাদের দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস, গাড়ি, হুইস্কির আমদানি আরও সহজ হবে জোটের দেশগুলোর।
ব্রিটিশ চেম্বারস অব কমার্সের (বিসিসি) ব্যবসায়ীরা এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সুসংবাদ এটি। বিসিসির ট্রেড পলিসির প্রধান উইলিয়াম বেইন বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসার ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ ছাড় পাব।
এ চুক্তির নেতিবাচক দিক সম্পর্কে প্রতিপক্ষরা বলছেন, পরিবেশ ও প্রাণী অধিকার বাধাগ্রস্ত হবে। তবে সিপিটিপিপি চুক্তিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রায় সবাই। কেমি ব্যাডেনোচ বলেন, আমরা সবাই উপকৃত হবো।