প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে যমুনা নদী অধ্যুষিত জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ৩০ ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের নিচু এলাকার ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি। বন্যাকবলিত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিচ্ছেন। বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঝুপড়ি ঘর তুলে সেখানে তারা বসবাস করছেন।
জানা গেছে, বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। জেলার এক হাজার ৫৩ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাবিবুল ইসলাম। এদিকে দ্রুত পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতী, হুরাসাগর, বড়াল, বিলসূর্য, গুমানীসহ অধিকাংশ নদ-নদীর পানিও বেড়েছে ।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৩ দশমিক ৪৭ সেন্টেমিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক নদীর তলদেশে সার্ভে করছি, যাতে কোনো ত্রুটি থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
চৌহালী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহমেদ বলেন, চৌহালীতে যমুনা নদীর চরে প্রায় ১৭শ’ হেক্টর জমি রয়েছে। এসব জমিতে পাট, তিল, বাদাম, ভুট্টা, আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়। এসব জমির অধিকাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।