প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ : তিন দিন ধরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় হলুদ ও সাদা রঙের মুখপোড়া একটি হনুমান লোকালয়ের গ্রামের গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জানা যায়, গত শনিবার দুপুর থেকে উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের মোড়দহ ও কাটারমহল গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি এবং বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছে হনুমানটি। সাদা ও হলুদ রঙের মুখপোড়া হনুমানটি মানুষ দেখলেই ভয় পাচ্ছে, গাছ থেকে মাটিতে নামছে না। উৎসুক লোকজন মাঝে মাঝে নিচ থেকে গাছের ডালে কলা ও পাউরুটি ছুড়ে দিচ্ছেন। হনুমানটি সেগুলো খেলেও বেশিক্ষণ একস্থানে অবস্থান করছে না।
গতকাল সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা বন কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এলাকাবাসীর ছুড়ে দেওয়া পাউরুটি ও কলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছে হনুমানটি। তবে বেশি মানুষ দেখলেই ভয় পেয়ে লাফিয়ে দূরে সরে যাচ্ছে হনুমানটি। একস্থানে বেশিক্ষণ থাকছে না। তিন দিন ধরে উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের মোড়দহ ও কাটারমহল গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি এবং বাগানে হনুমানটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। হালকা হলুদ ও সাদা রঙের হনুমানটি দেখতে ভিড় জমছে। এই হনুমানটি হঠাৎ করে কোথা থেকে এলো, সে প্রশ্ন সবার। বিষয়টি রাজশাহী বিভাগীয় বন অফিসে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে লোক এলে এটিকে ধরার ব্যবস্থা করা হবে।
মোড়দহ গ্রামের বাসিন্দা নুর-নবী, আলিম ও হান্নান আলী জানান, প্রথমে আক্তার হোসেনের বাড়ির একটি গাছে হনুমানটি দেখা যায়। লোকজন এগিয়ে এলে এটি দ্রুত অন্যত্র চলে যায়। তবে স্থানীয় লোকজন তাকে খাবার দিলেও কেউ তাকে বিরক্ত করছে না। এই খবর স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে সেটি দেখতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। তবে বিষয়টি জেলা বন বিভাগকে জানানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা বন কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, হনুমানটির লোকালয়ে ঘোরার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। আসলে ভারত থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে অনেক পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে আসে। অনেক বনের পাশ দিয়ে ট্রাক চলাচলের সময় দলছুট হনুমান ট্রাকে বসে এ দেশে চলে আসে। হনুমানটি ভারত থেকে এসেছে বলে আমাদের ধারণা।
তিনি আরও বলেন, হনুমান ধরার সরঞ্জাম জেলায় নেই। বিষয়টি রাজশাহী বিভাগীয় বন অফিসে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে এটিকে ধরার প্রস্তুতি চলছে। হনুমানটিকে কোনোরকম আঘাত বা বিরক্ত না করার জন্য এলাকার লোকজনকে সতর্ক ও অনুরোধ করা হয়েছে।